স্পেনে মৃতের হার যেভাবে বাড়ছে, তাতে কফিনের চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে দেশটির কফিন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে যাতে করোনাভাইরাস না ছড়ায় সেজন্য বিশেষ ব্যাগ তৈরীর কাঁচামালও শেষ। করোনাভাইরাসের প্রকোপে এখন পর্যন্ত দেশটিতে প্রাণ গেছে ১৩ হাজারের বেশি মানুষের।
মরদেহ থেকে যাতে কোভিড নাইনটিন ভাইরাস ছড়াতে না পারে, সেজন্য কফিনগুলোতে ব্যবহার করা হয় পানি নিরোধক এক ধরণের প্ল্যাস্টিক। তবে মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সংকট দেখা দিয়েছে প্ল্যাস্টিক ব্যাগটিরও। এমনকি কাঁচামালের ভান্ডারও শেষ বলে জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
চাও কফিন এর পরিচালক মারিয়া চাও বলেন, “করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের জন্য আমাদের ওয়াটারটাইট ব্যাগ ব্যবহার করতে হচ্ছে। ব্যাগের ব্যবহার এতো বেড়ে যাওয়ায় বেশ ঝামেলায় পড়ে গেছি। আমাদের পর্যাপ্ত মজুদও নেই। তাই খুব সাবধানতার সাথে ব্যবহার করতে হচ্ছে এটি।
প্রতিষ্ঠানের কোন পণ্য বিক্রি বাড়লে, লাভবান হয় ব্যবসায়ীরাই। তবে এতো লাশের ভিড়ে এমন লাভ চায় না কফিন নির্মাতারা। প্রয়োজনের তাগিদে অনিচ্ছ্বা সত্ত্বেও বানাতে হচ্ছে পণ্য।
মারিয়া চাও বলেন, কেবল আমরাই যদি ৪ হাজার কফিন সরবরাহ করে থাকি, তাহলে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতো আরও বেশি সরবরাহ করছে। রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।
দেশটিতে গত ৩ মার্চ করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর এক মাসের মাথায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১২ হাজার।
Leave a reply