দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আক্রান্তের আধিক্য বিবেচনায় নিয়ে রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাস্তবায়ন হবে বিভিন্ন পদক্ষেপ।
এদিকে সংক্রমণ ঠেকাতে রাজধানীতে আজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে দুটি এলাকা রাজাবাজার ও পুরান ঢাকার ওয়ারী লকডাউন করার কথা রয়েছে।
ওয়ারীতে লকডাউন হতে পারে এই খবরে অনেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। বাসিন্দাদের অনেকেই লকডাউনের পক্ষে। তবে আগের সাধারণ ছুটির মত এই লকডাউন শুধু নামেই সীমাবদ্ধ থাকলে সুফল আসবে না। পরিপূর্ণ লকডাউন হলে করোনা সংক্রমণরোধ সম্ভব বলে মনে করেন তারা।
তবে নিম্ন আয়ের মানুষ লকডাউন জীবন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, লকডাউন হলে এসব কাজ করার কোন সুযোগ থাকবে না। তখন ঘরে খাবার পৌঁছে দিতে সরকারকে ব্যাবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় লকডাউন উপেক্ষা করে বের হতে হবে তাদের।
এদিকে রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দারা লকডাউন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, যারা প্রতিদিন কাজের সন্ধানে বের হয় তারা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বেন। এটি তাদের কাছে মরার উপর খাড়ার ঘা এর সমান।
এলাকাবাসীরা আরও জানান, লকডাউন করলে তাদের রুজির পথ বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এতে করে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
এজন্য রাজাবাজার কাউন্সিলরের কাছে সাহায্যের অনুরোধও জানান এলাকাবাসী।
Leave a reply