পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় উপজেলার বাইরে থেকে প্রবেশ করা সবাইকে বাধ্যতামূলক প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর করা হবে। এ উপলক্ষে ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেলের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বিকালে ভাঙ্গুড়া সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বাকী বিল্লাহ, ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম হাফিজ রঞ্জু, জেলা পরিষদ সদস্য আসলাম আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লোকমান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান প্রধান সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি।
জানা যায়, ভাঙ্গুড়ায় একজন নারীসহ এ পর্যন্ত ১০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এদের মধ্যে তিনজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। অন্যরা নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। করোনা শনাক্ত হওয়া ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই ঢাকা ও এর আশেপাশের এলাকা থেকে এসেছে। গত মার্চ মাসের ২৬ তারিখ হতে বাহির থেকে আসা সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে নমুনা সংগ্রহ করে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন।
কিন্তু নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকা অনেকে স্বাস্থ্য প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে গ্রামে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করে। এতে তাদের মাধ্যমে এলাকায় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই শুক্রবার থেকে উপজেলার বাহির দিকে আসা যেকোনো ব্যক্তিকে ভাঙ্গুড়া মডেল সরকারী স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাধ্যতামূলক প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, বাহির থেকে আসা লোকজন তথ্য গোপন করে এলাকায় স্বাভাবিকভাবে চলাচল করার চেষ্টা করেন। পরে এলাকাবাসীর মাধ্যমে বিষয়টি জেনে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু অনেকেই নির্দেশনা অমান্য করে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করেন। এতে অন্যরাও ঝুঁকিতে পড়ে যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত করোনা শনাক্তের কিট রয়েছে। কিন্তু করোনা সনাক্ত হলে লকডাউনের ভয়ে কেউই নমুনা পরীক্ষা করাতে চাচ্ছে না। জনগণ এত অসচেতন হলে করোনার দুর্যোগ মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে যাবে।
ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, প্রথমত স্থানীয় জনগণকে করোনা মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সচেতন করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। করোনা আক্রান্তদের উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের মাধ্যমে সেবা ও পরামর্শ দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাধ্যমে সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বর্তমানে করোনা ব্যাপক বিস্তার করে ফেলেছে।
তাই দেশের যেকোনো এলাকায় বসবাসরত কেউ ভাঙ্গুড়ায় প্রবেশ করলে বাধ্যতামূলক প্রতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Leave a reply