আজ থেকে খুললো ইউরোপের সীমান্ত

|

আজ থেকে খুললো ইউরোপের সীমান্ত। এটিকে বিজয়ের প্রথম ধাপ আখ্যা দিলেও, দ্বিতীয় দফায় কোভিড নাইনটিন ফিরতে পারে এমন হুঁশিয়ারি দিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।

চলতি মাসের শুরু থেকেই সীমিত পরিসরে ক্যাফে-রেস্তোঁরা খোলার অনুমতি পেয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। সোমবার থেকে কঠোর সেই বিধিনিষেধও তুলে নেয়া হলো। এটিকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রথম বিজয় আখ্যা দিলেও প্রেসিডেন্টের শঙ্কা দ্বিতীয় দফায় ফিরতে পারে মহামারি।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন বলেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন অধ্যায় শুরু করলো ফ্রান্স। পুরো দেশই ঢুকলো গ্রিন জোনে। সব ক্যাফে-হোটেল-রেস্তোঁরার ওপর থেকে উঠে গেলো বিধিনিষেধ। এমনকি, ইউরোপের অভ্যন্তরে চলাচল করতে পারবেন পর্যটকরা। ২২ জুন থেকে শিশুরা যেতে পারবে স্কুলে। তবে, সামান্য ভুলের কারণে দ্বিতীয় দফায় ফিরতে পারে মহামারি, হতে পারে আরও ভয়াবহ।

ধারাবাহিকভাবে মহামারি থেকে ইউরোপের উত্তরণ ঘটায় খুলছে শেনজেন সীমান্ত। গ্রিস নিজ মহাদেশের পাশাপাশি যেসব রাষ্ট্র অনেকটাই করোনামুক্ত তাদের স্বাগতম জানাচ্ছে। তবে, বিস্তার রোধে স্পেন ও চেক প্রজাতন্ত্র বহাল রেখেছে কিছু বিধিনিষেধ।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ বলেন, ২১ জুন থেকে ইউরোপের দেশগুলোর সাথে সীমান্ত খুলে দিচ্ছে স্পেন। সেদিনই, জরুরি অবস্থারও অবসান ঘটছে। সেক্ষেত্রে, পর্যটকদের ওপর ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার খড়গ নেই। তবে, জুলাই পর্যন্ত বহাল থাকবে পর্তুগালের সাথে সীমান্ত বিষয়ক কড়াকড়ি।

অর্থনীতিকে গতিশীল রাখার স্বার্থে চলতি মাসে লকডাউন শিথিল করেছে রাশিয়াও। প্রেসিডেন্ট পুতিনের দাবি, সংকট থেকে বেরিয়ে আসছে দেশ। তবে, ভঙ্গুর সরকার কাঠামোর জন্য এখনো ভুগছে যুক্তরাষ্ট্র।

ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, নানামুখী সমস্যা এবং নিম্নমুখী প্রাণহানির মধ্যেই দৃঢ়চিত্তে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করছে রাশিয়া। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রে ঠিক উল্টো চিত্র। কেন্দ্রীয় সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই মহামারি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। কখন যে প্রেসিডেন্টের সাথে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে যান গভর্নররা, সেটি দেখার অপেক্ষায় আছি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply