রাজস্ব আদায়ে কঠোর হতে চায় সরকার

|

বিশাল বাজেট বাস্তবায়নে কর জাল বিছিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। করোনাকালীন সময়েও রাজস্ব আদায়ে কঠোর হতে চায় সরকার। কর শনাক্তকরণ নম্বর, টিআইএন থাকলেই আর ফাঁকি দেবার সুযোগ নেই। কর আদায় বাড়াতে এবার শক্ত পদক্ষেপ নিতে চায় সরকার। এ জন্য আয়কর অধ্যাদেশে নতুন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। রিটার্ন জমা না দিলেই জরিমানা করতে পারবে কর কর্মকর্তা।

নিত্যপণ্যে স্থানীয় ঋণপত্রের বিপরীতে উৎসে কর ২ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বাড়তে পারে ভোক্তার অতি প্রয়োজনীয় নানা পণ্যের দাম।বিশ্লেষকরা মনে করেন, সংকটের এই সময়ে কঠিন হবে রাজস্ব আদায়।

বর্তমানে দেশে কর সনাক্তকরণ নম্বর, টিআইএনধারী’র সংখ্যা ৪৬ লাখের বেশি। কিন্তু চলতি অর্থবছরে রিটার্ন জমা দিয়েছেন প্রায় ২২ লাখ করদাতা।

বাজেটের অর্থবিল ঘেটে দেখা যায়, রিটার্ন জমা দেবার বাইরে অর্ধেক সংখ্যাক করদাতা। টিআইএন নিয়ে রিটার্ন জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করতে চায় সরকার। থাকছে সংস্কার উদ্যোগ, যুক্ত করা হয়েছে, আয়কর অধ্যাদেশের নতুন ধারা।

অন্যদিকে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তিন কোটি টাকার পণ্য বিক্রি করে লাভ-লোকসান যাই হোক না কেন, ন্যূনতম আয়কর দিতে হবে দেড় লাখ টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটের এমন বিধান যুক্ত করেছেন অর্থমন্ত্রী।

নিত্য প্রয়োজনীয় ৩০টির বেশি পণ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে স্থানীয় ঋণপত্রের বিপরীতে দিতে হবে উৎসে কর। এতে বাড়তে পারে পণ্যমূল্য।

বিশাল রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে কঠোর হবে এনবিআর। তবে করোনানাকালীন এই সময়ে করদাতাদের কাছ থেকে কতোটা সাড়া মিলবে তাও নিয়েও আছে প্রশ্ন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply