পাঁচটি আলাদা ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করছে চীন। যার ৩টিই সফল দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালে। সবার আগে ভ্যাকসিন বাজারজাত করতে দ্রুতই চূড়ান্ত ট্রায়ালে যেতে চায় চীন।
আর এখানেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে গবেষকদের জন্য। চূড়ান্ত ট্রায়ালের জন্য দরকার বিশাল জনগোষ্ঠির ওপর পরীক্ষা চালানো। চীনে এই মুহূর্তে সংক্রমণের সংখ্যা কম হওয়ায় তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের জন্য ব্রাজিলসহ আরো বেশ কিছু দেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ভ্যাকসিন আবিষ্কারে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো।
ভ্যাকসিনের সহকারী গবেষক ওয়াং জুনঝি বলেন, আন্তর্জাতিক মান ও শর্ত নিশ্চিত করেই ২য় ধাপ সম্পন্ন করেছে ভ্যাকসিন তিনটি। এখন লক্ষ্য তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল সম্পন্ন করা। যেখানে বৃহৎ জনগোষ্ঠির ওপর ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা প্রমাণ করাই সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ।
করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে সফলতার দ্বারপ্রান্তে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। সবার আগে বাজার ধরতে তাই দ্রুতই ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত ট্রায়াল সম্পন্ন করতে চায় চীন।
ভ্যাকসিনের প্রধান গবেষক ঝেং ঝংউই বলেন, ভ্যাকসিন পেতে মুখিয়ে গোটা বিশ্ব। বাজারে আনার আগে ওষুধ আইনের সব শর্ত পূরণ করে ভ্যাকসিনটির অনুমোদন করাতে চাই। তবে করোনা পরিস্থিতি আরও জটিলের দিকে গেলে ভ্যাকসিন আইনের আর্টিকেল ২০ মেনে জরুরী ভিত্তিতে ভ্যাকসিনের বাজারজাত করবো আমরা।
এরইমধ্যে দেশটির সিনোভ্যাক বায়োটেক ও চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারে নিজেদেরকে সফল বলে দাবি করেছে।
Leave a reply