করোনা সংকটে চরম দুরাবস্থায় প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেন। সেইসাথে মানবেতর জীবন যাপন করছেন প্রায় ছয় লাখ শিক্ষক। প্রতিষ্ঠানগুলো বাঁচাতে সরকারি সহযোগিতা চেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
চলমান পরিস্থিতিতে কেউ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে চলে গেছেন গ্রামের বাড়ি, কেউ বন্ধের চিন্তা করছেন। মাসের পর মাস বাকী পড়েছে বাড়ি ভাড়া, শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা। কারণ গত ১৭ মার্চ থেকেই বন্ধ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাঝে কেটেছে তিন মাসেরও বেশি সময়।
একদিকে যেমন শিক্ষার্থী নেই তেমনি নেই কোন টিউশন। বকেয়া পড়েছে বাড়ি ভাড়া, বন্ধ আছে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা। উপায় না দেখে, বন্ধ করে দেয়া হয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রায় ৪০ হাজার কিন্ডারগার্টেন।
রামপুরার ইকরা আইডিয়াল স্কুল। এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থা আরও করুন। স্কুল বন্ধ করে আসবাবপত্র নিয়ে গ্রামে চলে গেছেন মালিক। স্কুলের সাইনবোর্ডের জায়গায় ঝুলছে বাড়িভাড়ার নোটিশ।
ভালোই চলছিলো রামপুরার হলি ভিশন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল ও কলেজ। কিন্তু গত তিন মাসে ত্রাহি অবস্থা পরিচালনা পর্ষদের। সংকট দীর্ঘায়িত হলে বন্ধ করে দেয়ার চিন্তা করছেন বলে জানালেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আক্কাস আলী মামুন।
বাড্ডা এলাকার হলি ভিশন, টাইনি টটসহ বেশ কয়েকটি স্কুলের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধের পথে। অধিকাংশই প্রতিষ্ঠানই পরিচালিত হচ্ছে ভাড়া বাড়িতে। তাই, ভবিষ্যত নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন মালিকরা।
করোনা সংকটে দেশের প্রায় ৪০ হাজার প্রতিষ্ঠানের ৬ লাখ শিক্ষকের অনেকে পেশা বদলে ফেলেছেন বলে জানান বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের মহাসচিব মিজানুর রহমান। তিনি জানান, প্রণোদনা ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠান টেকানো কঠিন।
তবে এ ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।
Leave a reply