জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার ৭ উপজেলার ৫০টি ইউনিয়ন ও ৬ পৌরসভার প্রায় ৬ লাখ মানুষ।
বিভিন্ন সড়কে পানি উঠে পড়ায় ভেঙ্গে পড়েছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। গ্রামীণ হাট-বাজারগুলোতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে দুর্গতদের। দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গো-খাদ্যোর তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দুর্গতদের স্বাস্থ্য সেবার জন্য কাজ ৮০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।
এদিকে সারাদেশ বিবেচনায় দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উত্তরের পর মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। এরইমধ্যে ১৫ জেলায় ঢুকে পড়েছে বানের জল।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবে, ১৫ জেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ মানুষ। মধ্যাঞ্চলে পদ্মা- যমুনার পানি বেড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত। জামালপুরে প্রায় ৪ লাখ মানুষ হয়ে পড়েছেন পানিবন্দি।
রেল লাইনে পানি উঠে যাওয়ায় বন্ধ ইসলামপুর-দেওয়ানগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল। বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে দুর্গত এলাকায়। কোরবানীর আগে গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে অনেকেই। তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি এখনও বিপদসীমার আশপাশে বইছে।
Leave a reply