কাজী তানভীর মাহমুদ, রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
বিশাল আকারের কালো শরীর নিয়ে হেলেদুলে চলেন তিনি। গলায় তার বাহারি রঙের মালা। গায়ের রঙ কালো এবং দেখতে পাহাড়ের মত হওয়ায় গৃহকর্তা শখ করে তার নাম রেখেছেন কালাপাহাড়। রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ইলিশকোল গ্রামের খামারী মোঃ কাসেদ আলী খানের পালিত ষাঁড়ের বর্তমান ওজন ৪২ মণ। ২০১৫ সালে ষাঁড়টি জন্ম নেয়।
৯ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৫ ফুট উচ্চতার ষাঁড়টি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা উৎসুক মানুষের ভিড় লেগেই রয়েছে। ৪ বছর বয়সী কালাপাহাড়কে ১০ লাখ টাকা দামে বিক্রি করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুরু হয়েছে জোর প্রচারণা।
শাহীওয়াল জাতের ষাঁড়টিকে দেশিয় পদ্ধতিতে খামারে মোটাতাজা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ষাঁড়টির মালিক। তিনি বলেন, প্রতিদিন এই কালাপাহারকে প্রায় ৪০ কেজি খাবার খাওয়াতে হচ্ছে। এতে প্রতিদিন ব্যয় ১ হাজার টাকা। চিকিৎসকদের সার্বিক পরামর্শে খাবার হিসেবে ঘাস, ভুসি, ভুট্টার গুড়া, গমের গুড়া, কলাসহ বাড়িতে তৈরি খাবার দেয়া হচ্ছে।
মোঃ কাসেদ আলী খানের খামারে এই কালাপাহার ছাড়াও উন্নত জাতের ছোট বড় ১০ টি ষাঁড় ও গাভী গরু লালন পালন করা হচ্ছে।
খামারী মোঃ কাসেদ আলী জানান, খামারে পালন করা একটি উন্নত শাহীওয়াল জাতের গাভীর পেটে জন্ম নেয় এই কালাপাহার। জন্মের পর থেকে প্রতিদিন ২৫ লিটার দুধ পান করতো কালাপাহাড়। মা গাভীর দুধ অত্যন্ত পাতলা হওয়ায় সেটি কিনতে চাইত না কেউ। ফলে কাছেদ আলী পুরো দুধই পান করতে দিতেন কালাপাহাড়কে। দেশের যে কোন জায়গা থেকে কোন লোক কালাপাহারকে কিনলে নিজ দায়িত্বে সেখানেই পৌঁছে দেবেন বলে জানান কাসেদ।
রাজবাড়ী জেলা সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সরকার আশ্রাফুল ইসলাম জানান, রাজবাড়ী জেলায় ছোট বড় খামার রয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক। খামারগুলোতে দেশী সহ বিভিন্ন জাতের গরু রয়েছে।এদের মধ্যে বালিয়াকান্দি উপজেলার কাশেদ খানের খামারের কালাপাহাড় নামের গরুটি সবচেয়ে বড়। তিনি ষাঁড়টিকে সঠিক নিয়মে পালন করেছেন। আশা করি কোরবানির হাটে কালাপাহাড় ষাঁড়টি সঠিক মূল্যে বিক্রয় হবে।
তিনি জানান, এবারের কোনবানির ঈদের জন্য জেলায় ২৩ টি পশু হাট বসবে। প্রায় ৬০ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে। এতে জেলার চাহিদা পূরণ হবে।
Leave a reply