বাগেরহাটে অতিবর্ষণে বাসাবাড়িতে পানি, ভেসে গেছে মৎস্য খামার

|

বাগেরহাটে চার দিনের অতিবর্ষণে সৃষ্ট জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে বাসা বাড়িতে ডুকে পড়েছে পানি। ভেসে গেছে মৎস্য খামার। ফলে গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েকশো পরিবার।

শুকনো খাবার খেয়ে দিন কাটছে অনেকের। ভেসে গেছে পাঁচ হাজার চিংড়ী ও মৎস্য ঘেরের মাছ। ক্ষতি নিরুপণে কাজ শুরু করেছে মৎস্য বিভাগ।

জেলার সদর উপজেলার ভৈরব নদীর জোয়ারের তোড়ে স্থানীয় উপজেলা পরিষদের দেয়া রিং বেড়িবাঁধ উপচে বেমরতা ইউনিয়নের ভদ্রপাড়া ও বৈটপুর গ্রামের ৩ শতাধিক পরিবার ও মোংলা উপজেলার কানাই নগর গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

ভুক্তভোগীদের দাবি, এখানে রিং বেড়িবাঁধটির পরিবর্তে পানি উন্নয়ন বোর্ডের টেকসই বাঁধ নির্মাণ ছাড়া স্থায়ী সমাধান হবে না।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক জানান, পাঁচটি উপজেলায় পাঁচ হাজার চিংড়ী ও মৎস্য খামার ভেসে গেছে। ক্ষতি নিরুপণে কাজ করছে মৎস্য কর্মকর্তারা।

তবে ক্ষতিপূরন না চেয়ে সুষ্ঠু পানিবণ্টন নিয়ন্ত্রণ চায় এলাকাবাসী ও মৎস্য চাষীরা। তারা বলেন, প্রতিবছরই আমাদের মাছের ঘেরসহ বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। ঘূর্নিঝড় আম্পানসহ এই বছরে দুইবার তলিয়ে গেলো। সরকারের প্রতি বাঁধ নির্মাণের আহ্বান জানান তারা।

বাগেরহাট পৌর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: আরিফ হোসেন জানান, কিছু এলাকায় পানি ওভার ফ্লো হয়ে লোকালয়ে ডুকেছে। তবে কোথাও বেড়িবাঁধ ভাঙ্গেনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply