খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয়েছে আমদানিকৃত প্রায় ৪১ হাজার টন সার। প্রায় দুই বছর উন্মুক্ত স্থানে থাকা এসব সারের গুণগত মান নিয়ে আছে প্রশ্ন।
জামালপুরের যমুনা সার কারখানা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুসারে ২০১৯ এর শুরু থেকে পুরনো এসব সার ডিলারদের মাঝে সরবরাহ করা হচ্ছে। ডিলারদের অভিযোগ, এক ট্রাক অর্থ্যাৎ ১২ টন সারের মধ্যে তিনটন ব্যবহার অনুপযোগী সার নিতে এমনিতেই বাধ্য হচ্ছেন তারা। তার ওপর প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যে দিশেহারা অবস্থা। বরাদ্দকৃত সার পেতে এদের ঘুষ না দিলে চাপিয়ে দেয়া হয় বিপুল পরিমাণ নষ্ট সার।
জানা যায়, সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে কারখানার অসাধু কিছু কর্মকর্তা ও ট্রাক মালিক সমিতির কয়েকজন নেতা। এদের সাথে আবার যোগসাজশ আছে অসৎ ডিলারদের। যদিও সব ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছেন ট্রাক মালিক সমিতির অভিযুক্ত সভাপতি মোজাম্মেল হক মুকুল।
হয়রানি ও বরাদ্দকৃত সার বিতরণে নয়-ছয়ের বিষয়ে কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন মহলে বারবার জানিয়েও প্রতিকার মেলেনি বলে জানান বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী।
এদিকে, কর্মস্থলে সম্প্রতি যোগ দেয়ার অজুহাতে খোলামেলা কথা বলতে রাজি হননি ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুদীপ মজুমদার। যদিও ফোনে দাবি করেন, সিন্ডিকেটের বিষয়টি মনগড়া।
জামালপুরের সার কারখানা থেকে মোট ১৯ জেলায় ইউরিয়া সারের চাহিদা মেটানো হয়। দেশের বৃহত্তম ইউরিয়া উৎপাদনকারী এই প্রতিষ্ঠানের ডিলার সংখ্যা প্রায় দুই হাজার।
Leave a reply