কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুনের আশঙ্কায় জাপানে দুই লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। টাইফুনের প্রভাবে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে ভারি বৃষ্টিপাত। বইতে শুরু করেছে প্রবল বায়ু। খবর বিবিসির।
খবরে বলা হয়, গত এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় টাইফুনটির তীব্রতা বেড়ে রোববারও প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস, ভারি বৃষ্টিপাত, উঁচু ঢেউ, জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। টাইফুনটি সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছানোর আগে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় কিউশু অতিক্রম করবে বলে সতর্কবার্তায় জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দফতর জাপানিজ মেটারেওলজিক্যাল এজেন্সি।
আরেক ভয়ংকর টাইফুন মাইসাকের তাণ্ডবের পরপরই সৃষ্টি হয় টাইফুন হাইশেন। রোববার সকালের দিকে টাইফুন হাইশেন ওকিনাওয়ায় এবং পরে আমামি অঞ্চলের কাছাকাছি এগিয়ে যাওয়ার সময় ভয়ংকর রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন জাপানের আবহাওয়া সংস্থার এক কর্মকর্তা।
ঝড়ের আশঙ্কায় জাপানের পশ্চিমাঞ্চলীয় সব কলকারখানা, স্কুল এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রাখা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে বহু ফ্লাইট এবং বন্ধ করা হয়েছে ট্রেন চলাচলও।
দুর্যোগপূর্ণ এ পরিস্থিতিতে রোববার জাপানের মন্ত্রিসভা জরুরি বৈঠকেও বসছে। দেশটির আবহাওয়া দফতর ঝড়ের প্রভাবে রেকর্ড বৃষ্টি এবং উঁচু ঢেউয়ের আশঙ্কায় লোকজনকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
ইউএইচ/
Leave a reply