ভৈরব প্রতিনিধি:
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূঁজা। আগামী ২২ অক্টোবর
বৃহস্পতিবার ষষ্ঠী পূঁজা দিয়ে শুরু হবে এবারের দূর্গাপূঁজা। ওইদিন শ্রী শ্রী শারদীয় দূর্গাদেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ, বোধন ও আমন্ত্রণ এবং অধিবাসের মধ্যদিয়ে পূঁজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।
ঢাকঢোল, শাখ, সঙ্খ, কাসা ও মৃদঙ্গ বাজিয়ে ও আরতি করে পূঁজা আর্চার মাধ্যমে ভক্তপ্রাণ হিন্দু নরনারীরা দূর্গা মাকে বরণ করে নেবে। ২৬ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে শারদীয় দূর্গা উৎসব শেষ হবে।
করোনা পরিস্থিতির কারণে সীমিতভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দূর্গোৎসব সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ সকলের।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা জানান, দেবী দূর্গা এবার মর্ত্যলোকে আসছেন দোলায় চড়ে। আর বিজয়া দশমিতে শ্বাশুরালয়ে ফিরে যাবেন গজে চড়ে।
এরই ধারাবাহিকতায় শারদীয় দূর্গা পূঁজা ঘিরে ভৈরব উপজেলার মন্দির ও মন্ডপগুলোতে এখন চলছে মূর্তি তৈরীর ব্যস্ততা। দেশব্যাপী করোনা পরিস্থিতির কারণে আয়োজন অনেকটা সীমিত পরিসরে হচ্ছে।
এবার ভৈরব উপজেলায় প্রায় ১৯টি পূঁজা মন্ডপে চলছে প্রস্তুতিমূলক আয়োজন। পূঁজার দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে বেড়েছে ব্যস্ততাও। অধিকাংশ মন্ডপে প্রতিমা নির্মাণের কাজ শেষ। প্রতিমা শিল্পীদের রংতুলির কাজ বাকি। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সাথে রাত দিন সমান তালে কাজ করছেন তারা।
নিখুঁতভাবে মনের মাধুরী মিশিয়ে ফুটিয়ে তুলছে দূর্গা দেবীর আকৃতি গড়নের পাশাপাশি চলছে লক্ষ্মী , স্বরস্বতী, গণেশ ও কার্তিকের প্রতিমা তৈরীর কাজ। তবে এবার পূঁজার সংখ্যা কম হচ্ছে বলে জানালেন প্রতিমা শিল্পীরা।
বাংলাদেশ পূঁজা উদযাপন পরিষদ ভৈরবের সভাপতি অধ্যাপক জিতেন্দ্র চন্দ্র দাস জানান, শারদীয় দূর্গোৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। সকলের সহযোগিতা পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারদীয় দূর্গোৎসব উদযাপিত হবে।
এদিকে আসন্ন শারদীয় দূর্গোৎসব যাতে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে এ জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যপারে কোন প্রকার ত্রুটি হবে না বলে জানালেন ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিন মিয়া।
Leave a reply