করোনা মহামারির প্রভাবে নির্ধারিত সময়ের চার সপ্তাহ পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে নিউজিল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ভোট চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
মোট ১৭ জন প্রার্থীর অংশগ্রহণ থাকলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির নেতা জেসিন্ডা আরডার্ন ও ন্যাশনাল পার্টি প্রধান জুডিথ কলিন্সের মধ্যে।
ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্নের দল লেবার পার্টির বিপরীতে লড়ছে, জুডিথ কলিন্সের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল পার্টি। জরিপে এগিয়ে থাকলেও, দ্বিতীয় মেয়াদে সরকার গঠনে জেসিন্ডার দলের জোট গড়তে হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্রাইস্টচার্চ হামলাসহ বিভিন্ন সংকটে নেতৃত্বের জন্য বিশ্বজুড়েই আলোচিত নাম জেসিন্ডা আরডার্ন। কোভিড নাইনটিন নিয়ন্ত্রণে সাফল্য নির্বাচনী মাঠে বহুগুণ এগিয়ে দিয়েছে তাকে। সবগুলো জরিপেই একচ্ছত্র শ্রেষ্ঠত্ব ৪০ বছর বয়সী কিউই প্রধানমন্ত্রীর। ২য় মেয়াদে তার নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরাও। প্রচারণার শেষ মুহূর্তেও তাই দেখা গেছে আত্মবিশ্বাসী আরডার্নকে।
ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, আমরা চাই তারা ভোটাধিকার প্রয়োগের চর্চ্চা করুক ব্যস্ত নাগরিকরা। আমাদের লক্ষ্য দলের জন্য প্রতিটি ভোট নিশ্চিত করা। শক্তিশালী, স্থিতিশীল সরকার গঠনে যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার।
অবশ্য জরিপের ফলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ রক্ষণশীল ন্যাশনাল পার্টি প্রধান জুডিথ কলিন্স। দাবি, আগে বহুবারই ভুল প্রমাণিত হয়েছে জরিপ। জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী জুডিথ মনে করিয়ে দেন বর্তমান সরকারের অর্থনীতি, স্বাস্থ্যসেবা আর আবাসন খাতে ব্যর্থতার কথা।
ন্যাশনাল পার্টির প্রধান জুডিথ কলিন্স বলেন, আমি মনে করিনা, আমি হারবো। কারণ, এমন দলের ওপর আস্থা রাখা কঠিন, যারা কথা দিয়ে কথা রাখে না। তারা নতুন নতুন বহু অঙ্গীকার করেছে অথচ আগের প্রতিশ্রুতি পালনেই ব্যর্থ।
রেকর্ড ১৭ লাখের বেশি আগাম ভোট পড়েছে এবারের নির্বাচনে। ৫৩তম পার্লামেন্টে জেসিন্ডা আরডার্নের দল লেবার পার্টি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেন কি না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। সেক্ষেত্রে ১২০ আসনের পার্লামেন্টে ৬১ আসনে জিততে হবে ক্ষমতাসীনদের।
Leave a reply