পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড ৩০ জুন ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ১০ শতাংশ স্টকসহ মোট ১৫ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর এ কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজিএমে শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদন ও সুপারিশকৃত ডিভিডেন্ড বিনিয়োগকারীরা পাওয়ার পর সোনালী পেপারকে ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হবে।
এদিকে গেল বছরের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে সোনালী পেপারের শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ৩০জুন,২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরে এনওসিএফপিএস যেখানে ৮০ পয়সা ছিল সেখানে ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরে এনওসিএফপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪.৬৪ টাকা। দীর্ঘদিন ওটিসি থাকাকালীন সময়েও নিয়মিত শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দিয়েছে সোনালী পেপার। মূল মার্কেটে ফিরে কোম্পানিটির গতি আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্যাশ ফ্লোতে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়ার পাশাপাশি কোম্পানিটি তাদের দীর্ঘ এবং স্বল্প মেয়াদি উভয় টার্মের ঋণও অনেক কমিয়েছে যা আয় বৃদ্ধিতে অনেক সহায়ত ভূমিকা পালন করবে।
উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে সোনালী পেপার দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ কমিয়েছে ৭৭.৩০ শতাংশ এবং স্বল্প মেয়াদি ঋণ কমিয়েছে ৮.৬১ শতাংশ।
ক্যাশ ফ্লোতে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব এবং ঋণ কমিয়ে আনার বিষয়ে সোনালী পেপারের কোম্পানি সচিব মো: রাশেদুল হোসেন জানান, ক্যাশ ফ্লোতে ইতিবাচক প্রভাব পড়ার পেছনে আমাদের অপারেটিং ব্যয় কম হয়েছে। যেসব ঋণের ম্যাচিউরিটি হয়ে গেছে সেগুলোকে অ্যাডজাস্ট করার কারণে কোম্পানির দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি লোনের পরিমাণও কমে গেছে।
Leave a reply