জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক তারকা ফুটবলার বাদল রায় আর নেই। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন বাফুফের সাবেক এই সহ-সভাপতি। ২০১৭ সালে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। এরপর সম্প্রতি বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে পরাজয়ের পর আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন বাদল রায়। হাসপাতালে ভর্তি হলে তার শরীরে ধরা পড়ে মরণব্যাধী ক্যান্সার। সাবেক কৃতি এই ফুটবলারের মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শোক জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অসুস্থ হওয়ার পর থেকেই তার মুখের কথা জড়িয়ে যায়, শরীরের বাম পাশটাও সাড়া দিত না আগের মতো। তারপরও বাদল রায়কেও আটকে রাখা যায়নি ফুটবল থেকে, কারণ তার ধমনীতে ছিল ফুটবল উন্নয়নের তাগিদ। ২৪ বছর ধরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে বসে নিঃসঙ্গ লড়াই চালিয়েছেন তিনি।
বাদল রায় লড়েছেন একজন গ্লাডিয়েটরের মতো। বিশুদ্ধতার প্রতীক হয়ে উঠতে চেয়েও বারবার ব্যর্থ হয়েছেন! চিৎকার করেও লাভ হয়নি! দেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ফুটবলার, মোহামেডান ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক- এসব পরিচয় ছাপিয়ে তাঁর সংগঠক চরিত্র প্রভাব ফেলেছিল ক্রীড়াঙ্গনে। টানা তিনবার নির্বাচিত হয়েছিলেন বাফুফে সহ-সভাপতি।
যাবার বেলায় মরণব্যাধী ক্যান্সার কখন যে চারধাপ এগিয়ে যকৃতে বাসা বাধলো তা আর খেয়ালই হলো না কারও! চলে গেলেন বাদল রায়; রেখে গেলেন সংগঠক হিসেবে তার দারুণ মুন্সিয়ানার ছাপ! তবে ব্যর্থতাও কি কম নয়? একজন ভালো মানুষ, ফুটবল শুধু নয় ক্রীড়াঙ্গনের ভালো চেয়েও পাশে পাননি কাউকে।
Leave a reply