কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ভুতুড়ে বিল নিয়ে গ্রাহকরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। পল্লী বিদ্যুতের গলাকাটা বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার প্রায় দেড় হাজার সেচ গ্রাহক। বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিল প্রতিদিনই বাড়ছে, ফলে উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে বাড়ছে গ্রাহকদের ভিড়।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিমছাট গোপালপুর গ্রামের খাদেমুল হক তার শান্ত অ্যান্ড ব্রাদার্স চাউল কলের স্বত্বাধিকারী খাদেমুল হক বলেন, জানুয়ারি মাসে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। ট্রান্সফরমারের সমস্যা থাকায় সংযোগটি বিচ্ছিন্ন থাকে। কিন্তু আমাকে যে বিদ্যুৎ বিল দেয়া হয়েছে সেখানে পূর্ববর্তী ও বর্তমান রিডিংয়ের স্থানে শূন্য দেখানো হয়েছে। অথচ আমার নামে ১ হাজার ২০৩ টাকার বিদ্যুৎ বিল দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এক ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেই আমাকে এখন এই টাকা পরিশোধ করতে হবে।
ইউনিয়নের দক্ষিণ ছাট গোপালপুরে কৃষক সাইফুর রহমান বলেন, জানুয়ারি মাসের বিল সিটে তার নিজের সেচ যন্ত্রের অনুকূলে প্রায় ৬ হাজার ইউনিট অতিরিক্ত যোগ করে ২২ হাজার ৯৩৫ টাকার বিল করা হয়েছে যা ব্যবহৃত ইউনিটের চেয়ে ১৩৩ গুণ বেশি।
পাথরডুবি ইউনিয়নের মইদাম গ্রামের গ্রাহক মহির উদ্দিন জানান, আমার বিদ্যুৎ জানুয়ারি মাসের বিলের কাগজে দেখি ১ হাজার ৭১৭ টাকা বিল দেয়া হয়েছে। অথচ এত টাকার বিল ব্যবহার করিনি।
আন্ধারীঝাড়ের খামার বেলদহ গ্রামের গ্রাহক শাহ আলম বলেন, আমাকে জানুয়ারি মাসের বিদ্যুৎ বিল দেয়া হয়েছে ১৮ হাজার ৯৫৯ টাকা। আমরা সাধারণ মানুষ এত টাকার কীভাবে পরিশোধ করবো ভেবে পাচ্ছি না। বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়াটাই অপরাধ হয়েছে আমাদের।
ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের বাগভান্ডার গ্রামের গ্রাহক আব্দুর রউফ বলেন, বিদ্যুৎ বিলে ব্যবহৃত ইউনিট শূন্য রিডিং দেখিয়ে বিল দেয়া হয়েছে ২৪ হাজার ৭৯৫ টাকা। পল্লী বিদ্যুতের এমন ভুতুড়ে বিল সাধারণ গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।
ভূরুঙ্গামারী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম মো. কাওসার আলী জানান, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ গুলো অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল থেকেই হতে পারে। যেসব গ্রাহকদের ত্রুটি হয়েছে সেগুলো সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ বিল সফটওয়ারের মাধ্যমে দেয়া হয়ে থাকে। ফলে অর্থ পকেটস্থ করার বিষয়টি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম স্বদেশ কুমার জানান, অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল দেবার বিষয়ে অ্যাভেলেভেল অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। মিটার একটি যন্ত্র সেখানেও ত্রুটি হতে পারে। এছাড়াও অনেক সময় চোখের দেখারও ভুল থেকে এমনটি হতে পারে। যে দু/একটা এসেছে সেগুলো আমরা ঠিক করে দিয়েছি।
Leave a reply