আখাউড়া বন্দরে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিতে ভারত ফেরত ট্রাকচালকরা

|

আখাউড়া প্রতিনিধি:

ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্ত বন্ধ থাকলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে। এপথে পণ্য পরিবহনকারী ট্রাকচালক ও হেলপারদের মধ্যে নেই কোনো স্বাস্থ্য সচেতনতা। ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকিতে পড়তে পারেন বাণিজ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ট্রাকচালক ও হেলপার, সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা।

জানা গেছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকরা সরাসরি প্রবেশ করছেন ভারতের আগরতলা বন্দরে। ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ট্রাক চালকেরা আগরতলা বন্দরে আসছেন। সেখানে মালামাল আনলোড করে ফিরে আসছে। বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে করোনা সংক্রমণের হার বেশি। এদের মাধ্যমে সহজে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরছে বাংলাদেশি ট্রাক চালকরা।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে বন্দর এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, আখাউড়া বন্দর এলাকায় করোনা প্রতিরোধ ব্যবস্থার জোরালো কোনো পদক্ষেপ নেই। বন্দরের প্রবেশদ্বারে ট্রাকে জীবাণুনাশক স্প্রে ও চালকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ আছে। কাস্টমস কিংবা বন্দর কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় অবাধে মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করছেন ভারত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশি ট্রাক চালকেরা। তবে কারো কাছে মাস্ক থাকলেও তা ঠিক মতো ব্যবহার করছেন না। কারো মাস্ক থাকলেও তা ঝুলছে গলায়। এতে করোনা সংক্রমণ বিস্তারের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

আখাউড়া স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বাবুল যমুনা টেলিভিশনকে জানান, যেহেতু ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে ট্রাক চালকেরা আগরতলা বন্দরে আসছেন। বাংলাদেশ থেকেও পণ্য নিয়ে ট্রাক চালকরা যাচ্ছেন ভারতে। এদের মাধ্যমে সহজে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। সেজন্য বন্দরে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া জরুরি।

আখাউড়া স্থলবন্দর কাস্টমস সুপারিন্টেন্ডেন্ট মোহাম্মদ আলী বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে চালক ও হেলপারদের মাস্কসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া আছে।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply