ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামে প্রায় ৪০ মণ ওজনের ষাঁড় ‘বীর বাহাদুর’ কে দেখতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছে। তার সঙ্গে সেলফি তোলারও হিড়িক পড়ছে।
‘বীর বাহাদুর’ ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার দক্ষিণ গোপালপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানের ফ্রিজিয়ান জাতের একটি ষাঁড়। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পাইকারি ব্যবসায়ীরা ষাঁড়টির দাম হেঁকেছেন ১৮ লাখ টাকা।
ওই গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজ আহমেদ ও সারজুল ইসলাম জানান, আতিয়ার রহমান গরুর সঙ্গে কথা বলেন। তিনি নাম ধরে ডাক দিলেই গরু বুঝতে পারে। মালিক যে নির্দেশ দেয় সেটাই সে পালন করে। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছে ‘বীর বাহাদুর’ কে দেখতে।
ঝিনাইদহ শহর থেকে আসা দর্শনার্থী মনিরুল ইসলাম ও তৈয়ব আলী জানান, আমাদের এলাকার অনেকে ‘বীর বাহাদুর’ কে দেখে গিয়ে গল্প করছিল। গল্প শুনে আমিও এসেছি। দেখে গরু মনে হয়নি, মনে হয়েছে এটি একটি হাতি। জীবনেও এমন গরু দেখিনি।
তবে বীর বাহাদুরের মালিক আতিয়ার রহমান বলছেন, ষাঁড়টিকে ২২ লাখ টাকায় বিক্রির ইচ্ছে আছে তার। ‘বীর বাহাদুর’ আমাদের পরিবার তথা গ্রামের খুব আদরের একটি ষাঁড়। খাবার দেওয়া, ময়লা পরিষ্কার, গোসল করানো সবই আমি ও আমার স্ত্রী জ্যোতি আফরিন একসাথে করি। ষাঁড়টি অনেক বড় হওয়ায় সব কাজ একা করতে পারি না। তাই সব সময় আমার স্ত্রীর সহযোগিতা নিতে হয়। চিকিৎসা, তাপমাত্রা ঠিক রাখাসহ সব বিষয়ে সার্বক্ষণিক সতর্ক থাকতে হয়।
তিনি আরও জানান, তিন বছর আগে ‘বীর বাহাদুর’ কে চুয়াডাঙ্গা জেলার ঐতিহ্যবাহী আলম-ডাঙ্গা বাজার থেকে খরিদ করেন। সব সময় পরিমিত খাবার আর যত্ন করে ষাঁড়টিকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন তিনি। ‘বীর বাহাদুর’ এর পেছনে এখন পর্যন্ত তার ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এখন প্রতিদিন খাবারের জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ২ হাজার টাকা করে। তাছাড়া ‘বীর বাহাদুর’ এর জন্য তার বাড়ির আঙিনায় ১০ কাঠা জমিতে কচি সবুজ ঘাসের চাষ করেছেন। সেই ঘাস ও ভুষি মাখিয়ে তাকে খাওয়ানো হয়। তবে ‘বীর বাহাদুর’কে কখনোই মোটাতাজাকরণ খাবার বা ওষুধ প্রয়োগ করেননি।
Leave a reply