১ জুলাই থেকে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউনে যাচ্ছে গোটা দেশ। রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে শিল্পখাত এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, পোর্ট ও কাস্টমস কার্যক্রম এর আওতাবহির্ভূত থাকবে।
এদিকে, লকডাউন ঘোষণার খবরে রাজধানী ছেড়ে যাচ্ছে লাখো মানুষ। দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ থাকায় হেঁটেই রওনা দিয়েছেন অনেকে। সবারই লক্ষ্য রিক্সা, অটো, অ্যাম্বুলেন্স- কিছু একটা বিকল্প বাহন। তাহলে পৌঁছানো যাবে গন্তব্যে। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
রাজধানীর ভেতরের গণপরিবহনগুলো সাইনবোর্ড এলাকা থেকেই ঘুরিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। এরই মধ্যে সোমবার থেকে সারা দেশে কঠোর লকডাউনের ঘোষণায় যে যেভাবে পারছে, ঢাকা ছাড়ার চেষ্টা করছে। রোদ, বৃষ্টি মাথায় করে ক্লান্তিকর হাঁটা শেষে কোনো একটা বাহন পেলেও গুণতে হচ্ছে কয়েক গুণ বাড়তি ভাড়া।
রাজধানীর আরেক প্রবেশ পথ আমিনবাজার ব্রিজেও ঢাকা ছাড়া মানুষের ভিড়। যদিও প্রবেশ পথে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে তৎপর ছিল পুলিশ। লকডাউনে কর্মহীন হতে হবে, তাই আগে থেকেই বাড়ি চলে যাচ্ছেন অনেকে।
ঢাকা থেকে ছুটে যাওয়া মানুষের চাপ দেখা যায় ফেরিঘাটগুলোতে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গন্তব্যে রওয়ানা দেয়া যাত্রীরা ফেরি ভিড়তেই হুমড়ি খেয়ে পড়েন। অবর্ণনীয় ভোগান্তির মধ্যেও মানুষ চাইছে যেভাবে হোক বাড়ি ফিরতে।
তবে শুধু বাড়ি ফেরা লোক নয়, রাস্তায় রয়েছে ঢাকামুখী মানুষেরও ঢল।
Leave a reply