করোনার ভয়াবহ সময়ে জনবল সংকটে ভুগছে খুলনার স্বাস্থ্যসেবা

|

খুলনার বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী বাড়ায় দেখা দিয়েছে জনবল সংকট। ফাইল ছবি।

খুলনা বিভাগে করোনায় প্রতিদিন রেকর্ড ভাঙতে শুরু করা মৃত্যুর মিছিল নিয়ে উদ্বিগ্ন সারাদেশ। এমন দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে সব কিছুকে ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে খুলনার হাসপাতালগুলোর জনবল সংকট। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না রোগীরা। যদিও এমন দাবি মানতে রাজি নয় খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী খুলনা বিভাগে গত এক মাসে মারা গেছেন ১২৬৫ জন। মৃত্যুর তালিকায় সর্বোচ্চ খুলনা জেলার পর, কুষ্টিয়ার অবস্থান। চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের অভিযোগ, সময়মতো চিকিৎসক ও নার্সের সেবা পাচ্ছেন না তারা।

রোগী ও তাদের স্বজনেরা জানান, ডাক্তাররা নিয়মিত আসেন না। নার্সদেরও সবসময় পাওয়া যায় না। আসলেও তারা অনেক কাজ করতে অপারগতা প্রকাশ করে।

খুলনা মেডিকেলের সাবেক পরিচালকের ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, বিভাগে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ জনবল সংকট। উপজেলা চিকিৎসকদের বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও বাড়ছে সংকট।

খুমেকের সাবেক এই পরিচালক বলেন, আমাকে একা যদি একটি আইসিইউ ইউনিটে ২০ জন রোগীকে দেখতে হয় তবে তা আমার জন্য সম্ভব না। কারণ করোনা নিয়ে যারা হাসপাতালে আসছেন তাদের বেশিরভাগেরই অবস্থা খারাপ। সবাইকে একা সেবা দেওয়া অসম্ভব। ডাক্তার প্রায় ৮ হাজার পাশ করে বসে আছে। তাদের শুধু যোগদান করালেই তারা কাজ শুরু করতে পারে।

তবে সাবেক পরিচালকের এমন দাবির সাথে একমত নন খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেন, কোনো দিক থেকেই আমাদের কোনো ঘাটতি নেই। আমাদের যথেষ্ট জনবল, অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি রয়েছে। রোগী মৃত্যু বাড়ার বড় কারণ হলো তারা যখন হাসপাতালে আসেন তখন তাদের ফুসফুসের প্রায় ৮০ শতাংশই সংক্রমিত থাকে। এই অবস্থায় তাকে বাঁচানো খুবই কঠিন।

খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, বিভাগে মোট চিকিৎসক রয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার। আর নার্সের সংখ্যা প্রায় ৯ হাজার।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply