সেজান জুস কারখানায় শিশুরা কাজ করে কিনা তা খতিয়ে দেখছে র‍্যাব

|

অনুষ্ঠান শেষে অগ্নীকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ঈদ উপহার হস্তান্তর করেন র‍্যাব মহাপরিচালক।

স্টাফ করেনপন্ডেন্ট নারায়ণগঞ্জ:

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় শিশুরা কাজ করেছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে র‍্যাব। শ্রম অধিদপ্তরকে সাথে নিয়ে অন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানে শিশুশ্রম বন্ধে একযোগে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকেলে রুপগঞ্জের ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সেজান জুস কাখানায় আগুনে আহত এবং কর্মরত পাঁচশতাধিক পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠান শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

র‍্যাবের মহাপরিচালক বলেন, এই অগ্নি দুর্ঘটনায় ৫২ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে। মৃতদেহ শনাক্তের জন্য তাদের ডিএনএ টেস্ট করা হচ্ছে। ডিএনএ টেষ্ট সম্পন্ন হলেই বোঝা যাবে আরও কেউ নিখোঁজ রয়েছে কিনা। তিনি বলেন, এই দূর্ঘটনার তদন্তে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিবে প্রশাসন।

এরই মধ্যে এই ঘটনার দায়ে ৬ জনকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আগুন লাগার পর থেকে উদ্ধার তৎপরতা থেকে শুরু থেকে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে র‍্যাব। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জঙ্গী আটক, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার তৎপরতার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রয়োজনে মানবিক সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে আছে র‍্যাব।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে আজাদ, র‍্যাব মিডিয়া উইং পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঈনউদ্দিন, র‍্যাব ১১ এর অধিনায়ক সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশাসহ র‍্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

পরে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের কারখানায় অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৫০০ শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা তুলে দেন র‍্যাব মহাপরিচালক। এসময় তিনি আহতদের পরিবারের আর্থিক অবস্থাসহ চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply