আখাউড়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এদিকে, অভিযান চলার খবর পেয়ে কনের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া বরপক্ষ মাঝরাস্তা থেকেই পালিয়ে গেছে।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) দুপুরে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত কনের পিতাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। বাল্যবিবাহের শিকার হতে যাওয়া ওই কিশোরীর বয়স ১৩। সে উপজেলার মোগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে ফারজানা আক্তারের সঙ্গে পাশের বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের আওলিয়াবাজার গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে সজিবের (২০) বিয়ের আয়োজন করা হয়। বর কনের বাড়িতে হাজির হওয়ার আগেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যামাণ আদালত কনের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়।
এ সময় নির্বাহী কর্মকর্তা ওই বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন এবং উপস্থিত সকলকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করেন।
এদিকে, কনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালাচ্ছে এমন খবর পেয়ে মাঝরাস্তা থেকেই পালিয়েছে বরপক্ষ।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার যমুনা টেলিভিশনকে বলেন, আমরা বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে ওই কিশোরীর বিয়ে বন্ধ করেছি। কিশোরীর পিতাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই কিশোরী প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না এমন মুচলেকা দিয়েছেন কিশোরীর পিতা ফরিদ মিয়া।
/এস এন
Leave a reply