ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুর সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের জলিল মোল্লার ডাঙ্গী গ্রামে যে কুমিরটি আস্তানা গেড়েছিল সেটি ধরা পড়েছে। আজ সোমবার (৯ আগস্ট) বিকেলের দিকে ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা পানির মধ্যেই কুমিরটিকে আটক করেন।
পরে কুমিরটি জলাধারের পাড়ে এনে রাখা হয়। সর্বর্শেষ এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৮ টা) স্থানীয় চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধায়নে ট্রলার যোগে কুমিরটি এপাড়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এপাড় থেকে বনবিভাগের কাছে কুমিরটি হস্তান্তর করা হবে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকুজ্জামান বলেন, ওই সময় বৃষ্টি হচ্ছিলো, তখন কুমিরটি এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে। স্থানীয়রা কুমিরটিকে ওই জলাধারের পাড়ে এনে রেখেছেন।
তিনি বলেন, বিষয়টি বন্য প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বিভাগীয় কর্মকর্তা নির্মল কুমার পালকে জানানো হয়েছে। তারা কুমিরটি তাদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।
ওই কুমিরটি ধরেছেন ওই এলাকার সোবাহান মোল্লা, মো. শাহজাহান মোল্লা, মো, মিলন মিয়া, আবু বক্কার, মো. বাবু, আলম শেখ প্রমুখ।
কুমিরটির আনুমানিক দৈর্ঘ্য সাড়ে সাত ফুট এবং ওজন প্রায় ৮০ কেজি।
ফরিদপুর বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা কবির হোসেন পাটোয়ারি বলেন, কুমিরটি জনতার হাতে আটক হওয়ার
খবরটি তিনি জানতে পেরেছেন। তিনি বলেন বিষয়টি তিনি বন্য প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বিভাগীয় কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন। কুমিরটির ব্যাপারে বন্য প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগই দায়িত্ব পালন করবে। এ ব্যাপারে তারা ফরিদপুর বন বিভাগের সাহায্য চাইলে সে সাহায্য তারা করবেন।
বন্য প্রাণী সম্প্রসারণ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বিভাগীয় কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল বলেন, কুমিরটি নিয়ে আসার জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল ফরিদপুরের উদ্ধেশ্যে রওনা দিযেছে। তিনি বলেন, কুমিরটি মিঠা পানির এবং বিরল প্রজাতির। এটি গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কে রাখার হবে বলে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রসঙ্গত গত ২৪ জুলাই সকালে ওই কুমিরটি চর এলাকার একটি জলাধারে দেখেন এলাকাবাসী। এরপর ওই এলাকায়
মাইকিং করে সর্ব সাধারণকে ওই জলাশয়ে না নামার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। পরবর্তিতে চেয়ারম্যানের পক্ষে
সতর্কীকরণ সাইন বোর্ড টানানো হয় ওই জলাধারের পাড়ে।
/এসএইচ
Leave a reply