‘এক ফল, এক ডলার।’ এমন প্রচার চালিয়ে মরুভূমির ফল ত্বিনের বাণিজ্যিক চাষ শুরু হয়েছে রংপুরে। যার বাজারমূল্য, একটি ফলের দাম এক ডলারের কাছাকাছি। ফলটি শুধু স্বাদেই অনন্য নয়, পুষ্টিগুণে ভরা। তাই এই ফল নিয়ে আশাবাদী কৃষি বিভাগ। আর ফলটি রপ্তানি করার স্বপ্ন উদ্যোক্তাদের।
তপ্ত মরুর ফল ত্বিন বাসা বেধেছে বাংলার নাতিশীতোষ্ণ হাওয়া-জল-মাটিতে। রংপুরের মিঠাপুকুরের শাল্টিগোপালপুরে শুরু হয়েছে রসে ভরপুর ফলটির বাণিজ্যিক চাষ।
কৃষক মিজানুর রহমান ও তার দুই ছেলে মিলে মাস ছয়েক আগে গড়ে তুলেছেন আত-ত্বিন এগ্রো। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ফলন। একেকটি ফলের ওজন কমবেশি ১০০ গ্রাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে হাজার টাকায়। সে হিসেবে ‘এক ফল এক ডলার’ প্রচার চালিয়ে ত্বিন ফলের চাষ এগিয়ে নিতে চান উদ্যোক্তারা।
আত-ত্বিন এগ্রোর উদ্যোক্তা ইনাম হাসান রাহাত বলেন, এই ফল চাষে অল্প খরচে অনেক বেশি লাভবান হওয়া যায় সেজন্য আমরা এই ত্বিন চাষ করছি। বেশ ভাল ফলনও পাচ্ছি এবং বাজারজাত করতে পারছি।
প্রতিদিনই এই বাগান দেখতে আসছেন অনেকে। কেউ কেউ নিয়ে যাচ্ছেন পরামর্শ।
কৃষি বিভাগ বলছে, পৃথিবীর অনেক দেশেই এই ফল পরিচিত আঞ্জির নামে। ডুমুর জাতীয় ফলটি ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যাসহ নানা রোগের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, মানুষের মধ্যে পুষ্টি সরবরাহ দেয়ার জন্য ত্বিন ফল একটি ভাল ভূমিকা রাখবে। এটি চাষে কিছু কিছু মানুষ ব্যবসায়িক সফলতাও পাবে বলে আমরা মনে করছি।
তিন মাস পর পর ফল দেয়া ত্বিন গাছের জীবনকাল ৩০ বছরেরও বেশি।
/এস এন
Leave a reply