‘তালেবানের উত্থানের পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে’

|

আফগানিস্তানের সাবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ নাবিদ নুরমাল।

তালেবানের উত্থানের পেছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আফগানিস্তানের সাবেক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ নাবিদ নুরমাল। যমুনা নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বিদেশি সেনাদের সাথে আফগান বাহিনীর সমন্বয়ের অভাবের কারণে এতো দ্রুত দেশ দখল করতে পেরেছে তালেবান।

কোনো বাধা ছাড়াই একের পর শহর দখলে নেয় তালেবান গোষ্ঠী। এমনকি রাজধানী কাবুলও অনায়াসে দখল করে নেয় তারা। আফগান বাহিনীর এমন অসহায় আত্মসমর্পনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন আফগানিস্তানের এই কূটনীতিক।

যমুনা নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ন্যাটোসহ বিদেশি সেনাদের সাথে আফগানিস্তানের জাতীয় প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিল। এছাড়াও তিনি অভিযোগ করেন, তালেবানকে অর্থ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছিল পাকিস্তান।

লন্ডনের আফগান হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি আহমাদ নাবিদ নুরমাল বলেন, মার্কিন সেনাদের সাথে আফগান বাহিনীর সমন্বয়ের অভাবেই আজকের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এছাড়া, একটি দল গোটা দেশের নিয়ন্ত্রণ এতো দ্রুত নিয়ে নেবে তা ভাবা যায় না। তাদেরকে মূলত অর্থসহ সব ধরণের সহায়তা দিয়েছে পাকিস্তান।

এদিকে, তালেবানের উত্থানে গোয়েন্দা ব্যর্থতাকে দুষেছেন ব্রিটিশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এজন্য দায়ী করেছেন বিশ্ব সম্প্রদায়কে।

থেরেসা মে বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ভুল ছিল, না হলে কিভাবে এত তাড়াতাড়ি তালেবান ক্ষমতা দখল করে নেয়। এটি অবশ্যই বিশ্ব রাজনীতিবিদদের ব্যর্থতা। এর দায় কোনোভাবেই এড়ানো যাবে না। যেভাবে মানুষ দেশ ছাড়তে চাইছে তা সত্যিই উদ্বেগের।

ব্রিটিশ অধ্যাপক ড. ফরিদ মিয়ার ধারণা, তালেবানদের উত্থান গোটা এশিয়ার জন্য উদ্বেগের। এতে পাকিস্তানে নতুন করে সংগঠিত হতে পারে গোষ্ঠীটি। এমনকি বাংলাদেশেসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও ছড়াতে পারে উগ্রবাদ।

এর আগে, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকাকালীন আন্তর্জাতিকভাবে অনেকটা বিচ্ছিন্ন ছিল তালেবান। তবে এবার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই গ্রহণযোগ্যতা আদায়ের চেষ্টা করছে গোষ্ঠীটি। এমনকি, আফগানিস্তান পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক সহায়তাও চেয়েছে তারা।

/এস এন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply