কক্সবাজার প্রতিনিধি:
সেন্টমার্টিন দ্বীপের ক্ষতিগ্রস্ত একমাত্র জেটিটি দ্রুততম সময়ে মেরামত করা না হলে অচল হয়ে পড়বে ৫০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা। এর ফলে প্রভাব পড়বে সরকারের রাজস্ব আয়েও। পদক্ষেপ বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
শনিবার (১১ সপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের একটি আবাসিক হোটেলের হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি তােফায়েল আহম্মেদ। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিমসহ অন্যরা এতে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ বাংলাদেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন। কক্সবাজার জেলায় আগত পর্যটকদের মধ্যে বিশাল একটি অংশ সেন্টমার্টিন দ্বীপকে কেন্দ্র করেই ভ্রমণে আসেন। ভ্রমণপিপাসু পর্যটকদের ভ্রমণ সুবিধা প্রদানের জন্য দ্বীপে গড়ে ওঠেছে দু’শর অধিক হােটেল – মােটেল – গেস্টহাউজ এবং শতাধিক রেস্টুরেন্ট । এছাড়া দ্বীপের ক্রমবর্ধমান পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে বিভিন্ন পেশায় স্থানীয় জনগােষ্ঠী জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছে। বর্তমানে দ্বীপের একমাত্র আয়ের উৎস পর্যটক।
সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের পারাপারে নিয়ােজিত ৭-৮টি জাহাজ, ২০০-৩০০টি বাস-মিনিবাস, ১০০টি মাইক্রোবাস, ২০০ ট্যুর অপারেটর প্রতিষ্ঠান, ৪০০ টুরিস্ট গাইড এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা পর্যটন ব্যবসাকে কেন্দ্র করে পরিচালিত হয় । আর এই সকল কর্মকাণ্ড যার মাধ্যমে সম্পন্ন হয় তা হলো সেন্টমার্টিন দ্বীপের একমাত্র জেটি । দু-এক বছর অন্তর অন্তর দ্বীপের মানুষের চলাচলের জন্য একমাত্র জেটিটি ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের শিকার হয়।
সর্বশেষ গত ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর টানা তিন থেকে চারদিন তাণ্ডবে একেবারে চলাচল অনুপযােগী হয়ে গেছে সেন্টমার্টিন দ্বীপের জেটিটি । এমনকি জেটির পাশে ট্রলার ভিড়ানাের অংশটুকু পর্যন্ত ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে দ্বীপের মানুষের ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।
এই পরিস্থিতে ক্ষতিগ্রস্ত জেটি দিয়ে আসন্ন পর্যটন মৌসুমে পর্যটক পারাপার করানাে কোনোভাবেই সম্ভব নয়। দ্রুততম সময়ে পর্যটক পারাপারে জেটিটি উপযােগী করা না গেলে দ্বীপকেন্দ্রীক সকল ব্যবসায়ী এবং দ্বীপবাসী কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন। পর্যটন ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত সকলের সুবিধার্থে পদক্ষেপ বাংলাদেশ এর পক্ষ থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রবেশের একমাত্র জেটিটি দ্রুত মেরামতের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের সুষ্ঠ সমন্বয় কামনা করছি ।
আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে জেটির মেরামত সম্পন্ন করা না গেলে পর্যটনশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাবে বলেও জানানো হয় এই সংবাদ সম্মেলনে।
Leave a reply