বাংলাদেশে অস্ত্র বিক্রি বাড়াতে চায় যুক্তরাজ্য

|

বাংলাদেশে অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিকক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামের বিক্রি বাড়াতে চায় যুক্তরাজ্য। এ বিষয় বিস্তারিত আলোচনার জন্য শীঘ্রই ঢাকা-লন্ডন সামরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন। সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য কৌশলগত সংলাপে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া ওই সংলাপে আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থান ও এ সংক্রান্ত আলোচনাও হয়েছে।

সারাবিশ্বে অস্ত্র আমদানিতে বাংলাদেশের অবস্থান ২০ থেকে ৩০ নম্বরের মধ্যে। সশস্ত্র বাহিনীতে ব্যবহৃত অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের বড় উৎস এখনও চীন। সম্প্রতি তুরষ্ক থেকেও কিছু সরঞ্জাম আমদানি করছে বাংলাদেশ। এছাড়া ইতালি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও জার্মানি থেকেও সরঞ্জাম এনে থাকে ঢাকা।

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রফতানি আমদানির ৮ গুণের মত। সম্প্রতি চতুর্থ কৌশলগত সংলাপে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও বাড়ানোর ব্যাপারে একমত হয়েছেন দুদেশের নীতিনির্ধারকরা। সেক্ষেত্রে সামরিক ও নিরাপত্তা খাতে যোগাযোগ ও ব্যবসা বাণিজ্য বাড়ানোর তাগিদ ছিল লন্ডনের। ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন জানান, আগে বিমান বাহিনীকে বড় চালান তারাই পাঠিয়েছে। এছাড়াও নৌ বাহিনীর ব্যবহারোপযোগী অনেক মানসম্পন্ন অস্ত্রসরঞ্জামও তাদের কাছে রয়েছে বলে জানান তিনি। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী সিদ্ধান্ত গ্রহণে খুবই পেশাদার। ব্রিটেন মনে করে, এই সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সামরিক কেনাকাটার উৎসে বৈচিত্র্য আনা জরুরি। সেক্ষেত্রে বৃটেন দারুণ গন্তব্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আলোচনায় হয় আফগান পটপরিবর্তন ইস্যুতে। তালেবান শাসনে বাংলাদেশসহ পুরো অঞ্চলে নিরাপত্তা ঝুঁকি বৃদ্ধি ও তা মোকাবেলার কৌশল নিয়েও কথা বলেন তারা। ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, তালেবান অবশ্যই বড় চ্যালেঞ্জ। তাদের উত্থানে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলে দুধরনের ঝুঁকি। প্রথমত, একটা আদর্শিক ব্যাপার কারও কারও মাঝে কাজ করতে পারে। আর দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানে যাওয়ার পুরানো রেকর্ড।

কোভিড সংক্রমণ হার ক্রমশ নিম্নমুখী হলেও এখনো ব্রিটেনের লাল তালিকায় বাংলাদেশ। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসা বাণিজ্য ও যোগাযোগ। হাইকমিশনারের প্রত্যাশা, দ্রুতই এই তালিকা থেকে বেরুতে পারবে বাংলাদেশ। তিনি বলেন, দুই সপ্তাহ পরপর এই লাল তালিকা পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং এটি তথ্যনির্ভর, এট কোনোভাবেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত না বলেও জানান তিনি। আশার কথা, বাংলাদেশে সংক্রমণ দ্রুত কমছে। তাই এই তালিকা থেকে দ্রুতই বাংলাদেশ বাদ যাবে।

ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনীতি গতিশীল করতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগ ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে অংশ নিলে, বাংলাদেশ লাভবান হবে বলে মনে করে ব্রিটেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply