আফগানিস্তানে জিন্স-শার্ট বিক্রেতাদের মাথায় হাত, ভালো নেই সেলুন ব্যবসায়ীরাও

|

আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানের হাতে যাওয়ার পর বদলে গেছে দেশটির ব্যবসাক্ষেত্রের চালচিত্র। টেইলার্স ব্যবসায়ীদের কপাল খুললেও পথে বসার উপক্রম জিন্স, টি-শার্টের মতো আধুনিক পোষাক বিক্রতাদের। তারা বলছেন, বেশিরভাগ মানুষ এখন ঝুঁকছে পায়জামা-পাঞ্জাবি বানানোর দিকে। শুধু তাই নয়, মন্দা দেশটির সেলুন এবং পার্লার ব্যবসাতেও।

আফগানিস্তানে ক্ষমতার পালাবদলের সাথে সাথে বদলে গেছে দেশের পতাকাও। তাই সব অফিস আদালত কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঝুলছে আফগানিস্তানের নতুন পতাকা। ফলে এই ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত সবার মুখেই এখন চওড়া হাসি। এক পতাকা বিক্রেতা জানালেন, নতুন পতাকার চাহিদা প্রচুর বেড়েছে। প্রতিদিনই শতশত পতাকা বিক্রি হচ্ছে। সবাই খুশি হয়েই এ পতাকা কিনছে। এতে আগের চেয়ে লাভও বেশি বলে জানালেন তিনি।

শুধু পতাকাই নয়, তালেবান ক্ষতায় আসার পর বেড়েছে দেশটির ঐতিহ্যবাহী পোশাকেরও বিক্রি। তাই স্যুট-কোট ফেলে টেইলার্সের দোকানগুলোতে বেড়েছে পায়জামা-পাঞ্জাবি বানানোর চাপ। তবে মাথায় হাত জিন্স, টি-শার্ট বিক্রেতাদের। তারা বলছেন, তালেবানের ভয়ে এখন আর কেউ এগুলো কিনতে আগ্রহী না। জিন্স-শার্ট বিক্রেতা এক আফগান জানালেন, বদলে গেছে তাদের ব্যবসা।

আর নতুন পোশাক বানাতে টেইলার্সে দোকানে ভিড় জমানো একজন জানালেন, আগে সব ধরনের পোশাকই পরতেন তিনি। কিন্তু এখন সরকার পরিবর্তন হয়েছে তাই পাঞ্জাবি বানাচ্ছেন তিনি। এটি পরতেও বেশ আরামদায়ক বলেও মনে করেন ওই আফগান তরুণ।

আধুনিক পোশাক বিক্রতাদের পাশাপাশি মন্দা ভাব দেশটির সেলুন এবং পার্লার ব্যবসাতেও। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকার পরিবর্তন হওয়ায় দাড়ি রাখার প্রবণতা বেড়েছে। তাই আগের মতো কাস্টমার নেই।

অর্থনৈতিক মন্দাভাব কাটিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেশ ছাড়ার কথাও বলছেন অনেকে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply