এখন পর্যন্ত যতোগুলো প্রাচীন সভ্যতার খোঁজ পেয়েছে মানুষ, তার মধ্যে অন্যতম সমৃদ্ধ সভ্যতা হলো মিশরীয় সভ্যতা। সম্প্রতি প্রত্মতাত্ত্বিকদের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মিশরীয়দের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিল বিয়ার। তখন দৈনিক প্রায় ৩০০ গ্যালন বিয়ার উৎপাদিত হতো বলে ধারণা করা হয়।
ফ্যাক্টস অ্যান্ড ডিটেইলস ওয়েবসাইটে প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা সংক্রান্ত একটি আর্টিকেলে ওই সময়কার বিভিন্ন সংস্কৃতি ও আচার-অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সেখান বলা হয়েছে, মিশরীয়রা বিয়ারকে মদ বা উত্তেজনাকর পানীয় হিসেবে নয় বরং খুব সাধারণ পানীয় হিসেবে পান করতো। তবে এর চাহিদা ছিল প্রচুর।
ওই সময় মানুষ মারা যাওয়ার পর দাফন বা দাহ করার বদলে মানবদেহ প্রক্রিয়াজাত করে মমি হিসেবে সংরক্ষণ করা হাতো। সে সময় মানুষের মধ্যে এতোটাই বিয়ারের জনপ্রিয়তা ছিল যে, মৃত্যুর পরও যাতে বিয়ার ছাড়া থাকতে না হয়, সে জন্য নিজেদের মমির সাথে বিয়ারের বোতল সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হতো।
সাধারণত নীল নদের পানিতে জন্মানো শষ্য থেকে বিয়ার উৎপাদন করা হতো। বিভিন্ন মিশরীয় নথি থেকে প্রাচীন মিশরে মোট ১৭ ধরনের বিয়ারের প্রচলনের কথা জানা যায়। ধনী-গরিব সবার মধ্যেই এই পানীয়ের প্রচলন ছিল। প্রাচীন মিশরীয় বিভিন্ন স্থাপনা এবং নিদর্শনেও বিয়ারের বোতলের ছবি পাওয়া যায়।
ধনীদের জন্য সুগন্ধযুক্ত বিয়ারের ব্যবস্থা থাকলেও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বরাদ্দ ছিল কম অ্যালকোহলসমৃদ্ধ বিয়ার। এসব পানীয় ধনী বা শাসকগোষ্ঠীর তদারকিতে তৈরি হতো, যাতে এর গুণগত মান অক্ষুন্ন থাকে।
Leave a reply