১৫ মার্চের পর নতুন ওষুধ দিয়ে মশা নিধন শুরু করবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ওষুধ দেয়ার আওতায় আসছে নতুন ওয়ার্ডগুলোও। আগের ওষুধের চেয়ে নতুন ওষুধের কার্যকারিতা বেশি বলে দাবি সিটি করপোরেশনের। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ওষুধ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ব্যবহারের আগে পরিমাপের দিকে নজর দেয়ার পরামর্শ তাদের।
ঝাঁকে ঝাঁকে মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ জনজীবন। কোথাও শান্তি নেই। এমন অবস্থা থেকে নগরবাসীকে রেহাই দিতে কামান দাগানোর অবস্থা সিটি করপোরেশনের। তারপরও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না মশা। সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ এবং ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। ঢাকা উত্তর সিটির দাবি, মশা নিয়ন্ত্রণে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নিয়েছে তারা। এসেছে নতুন ওষুধ।
মশা নিধনে এবার প্রজনন স্থানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার কথা জানান ডিএনসিসি কর্মকর্তারা। তবে, সব জায়গায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে ব্রি. জে. জাকির হাসান বলেন, ওয়াসা, রাজউকসহ বিভিন্ন সংস্থার সাথে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। তাদের কোনো গরজ নেই যেন পুরো দায়িত্বটা আমাদের। আমরা তো আর তাদের আওতাধীন এলাকায় যেতে পারি না। সমন্বয় ছাড়া এটা সম্ভব না। আমরা তাদের সহযোগিতা করতে রাজি আছি।
বিশেষজ্ঞরা বললেন, মশা মারতে যে ওষুধ ব্যবহার করা হয় তাতে ট্রেট্রামেথ্রিন, বায়োলেথ্রিনের মতো ক্ষতিকর উপাদান থাকে। তাই, ব্যবহারের সময় সতর্ক হতে হবে।
কিছু না কিছু প্রভাব থাকার কথা স্বীকার করে ডিএনসিসি কর্মকর্তা ব্রি. জে. জাকির হাসান তিনি বলেন, এই প্রভাব বাচ্চাদের ওপর একরকম, বড়দের ওপর আরেকরকম হবে। ওষুদের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষতিকর প্রভাব যেন কম পড়ে সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নীলুফার নাহার বলেন, মশার লার্ভা নিয়মিত উৎপাদন হচ্ছে। এটা যেন নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেজন্য নিয়মিত ওষুধ ছেটাতে হবে। আবার একই সাথে ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনা করে কম্পোজিশন ঠিক করতে হবে।
অবশ্য নগরবাসী সচেতন না হলে কোনো ব্যবস্থাতেই মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলে জানাচ্ছে সিটি করপোরেশন।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply