করোনার ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে। কিছু কিছু স্কুল একেবারেই বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এতে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়বে বলে শঙ্কা শিক্ষাবিদদের। চুয়াডাঙ্গায় যখন এমন পরিস্থিতি, তখন ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের সরকারি স্কুলে ভর্তির কথা বলছেন শিক্ষা কর্মকর্তা।
কিছুদিন আগেও যেখানে ছিল প্রি-ক্যাডেট কিন্ডার গার্টেন স্কুল, সেখানে এখন উঠছে নতুন ভবন। করোনায় স্কুলটি বন্ধ হওয়ায় মালিক সেটি ভেঙে নতুন ভবন তুলছেন। এমন অবস্থা চুয়াডাঙ্গার আরও বেশ কয়েকটি স্কুলের। যেগুলো সরকারি খোলার ঘোষণা দিলেও আর শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখর হবে না। দীর্ঘদিন বাড়িভাড়া আর শিক্ষকদের বেতন-ভাতা না দিতে পারায় সেগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে কিন্ডার গার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষকরা মানবেতন দিন কাটাচ্ছেন। অনেকে পেশাও বদল করেছেন। শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হারও শঙ্কা জাগানোর মতো। চুয়াডাঙ্গা কিন্ডার গার্টেন স্কুল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মামুনুর রশীদ বলছেন, করোনায় নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে কিন্ডারগার্টেনগুলো বেশ ক্ষিতিগ্রস্ত হয়েছে। শিক্ষকরাও মানবেতর জীবনযাপন করেছেন।
শিক্ষাবিদ ফোরামের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি জানালেন, কিন্ডারগার্টেনের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ঝরে পড়েছে। আর এটিই এখন অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
স্কুল বন্ধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা চাইলে সরকারি স্কুলে ভর্তি হতে পারবে, জানালেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আতাউর রহমান। তিনি বললেন, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষকরা তাদের বেতন মওকুফ করে দিতে পারেন। এতে ঝরে পড়ার হার কমবে বলেও মনে করেন তিনি।
জেলায় বর্তমানে ৪২টি কিন্ডার গার্টেন স্কুল রয়েছে। করোনার প্রভাবে এরইমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে ৭টি।
Leave a reply