মুন্সিগঞ্জের বানরগুলো ঐতিহ্য না বিড়ম্বনা?

|

মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগরের দুটি গ্রামে শত বছর ধরে বানরের বসবাস। কিন্তু সম্প্রতি প্রকট আকার ধারণ করেছে বানরগুলোর খাবারের সঙ্কট। আর এর ফলে প্রায়ই বানরগুলো বিভিন্ন বাড়িঘরে হামলা করছে। খাবার না পেলে আহতও করছে লোকজনকে। সমাধান হিসেবে খাবার দেয়ার পাশাপাশি বন্যপ্রাণী পুনর্বাসনের কথা বলছে বনবিভাগ।

শ্রীনগরের খাহ্রা গ্রামে বানরের ব্যবহার অনেকটা গৃহপালিত প্রাণীর মতোই। উঠানে তো বিচরণ সবসময়ই, কখনও বানর ঢুকে পড়ে ঘরের ভেতরেও। পাশের মদনখালী গ্রামের দৃশ্যও একই। স্থানীয়রা জানালেন, এখানে বানরের বসবাস প্রায় শত বছর ধরে।

কয়েকবছর আগেও বানরগুলোকে ঐতিহ্যের অংশই মনে করতো বাসিন্দারা। তবে এখন খাবারের সঙ্কটে বানরগুলো যখন হামলে পড়ছে ঘরে। তাই ঐতিহ্য ছাপিয়ে এখন তা দেখা দিয়েছে বিড়ম্বনা হিসেবে।

খাবার না পেয়ে পথেঘাটেও অনেককে আক্রমণ করে বানর। সম্প্রতি আহতও হবার ঘটনাও ঘটেছে বেশ কয়েকটি। তবে এত বিড়ম্বনা সত্ত্বেও বানরগুলোর ওপর থেকে মায়া কমেনি স্থানীয়দের। সাধ্যমতো তারা চেষ্টা করছেন বানরগুলোকে খাবার দেয়ার।

মুন্সিগঞ্জ বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু তাহের জানালেন, সরকারিভাবে বানরগুলোকে খাবার দেয়ার উদ্যোগের কথা। সাথে সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় কিছু বন্য প্রাণীকে অন্যত্র পুনর্বাসনের পরিকল্পনার কথাও জানালেন তিনি।

বন বিভাগের তথ্যমতে খাহ্রা ও মদনখালীতে বসবাসরত বানরের সংখ্যা হাজারেরও বেশি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply