তালেবান ক্ষমতা দখলের পর আর্ন্তজাতিক আসরে আফগান নারীরা যেন অংশ নিতে পারে সে জন্য রিফিউজি টিম বা শরণার্থী দল গঠনের চেষ্টা করছেন আফগানিস্তানের ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক খালিদা পোপাল। তিনি চার হাজারের বেশি নারী আফগান ফুটবলারের জীবন নিয়ে শঙ্কিত। মাদ্রিদে বসে চেষ্টা করছেন বিভিন্ন দেশে তারা যেন রাজনৈতিক আশ্রয় পায়।
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে বাস করলেও খালিদা পোপালের মন পড়ে আছে নিজ দেশ আফগানিস্তানে। দেশান্তরে থেকেই খালিদা একের পর এক স্বদেশি ক্রীড়াবিদকে নিরাপদে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সেই আগস্টের শুরুর দিনগুলো থেকে। তিনি একসময় ছিলেন আফগানিস্তান নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক, আর এখন একজন মানবাধিকার কর্মী। তবে পরিবারের উপর হুমকি পাওয়ার পর খালিদা পোপাল আফগানিস্তান ছেড়েছেন সেই ২০১২ সালে। তবে এখন যারা দেশ ছাড়ছেন তাদের নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন পোপাল।
আফগান নারী ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক খালিদা পোপাল বলেন, খেলোয়াড়রা পরিবার ছেড়ে আসছে, বাড়ি ছেড়ে আসছে; কারণ সেগুলো আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পরিবারের কেউ মৃত, কেউ তালেবানের হাতে ধরা পড়েছে, ওরা জানে না কী হবে ধরা পড়াদের ভাগ্যে। ওরা হতভাগ্য, ওদের একসাথে করে নিরাপদে রাখা, খেলার মধ্যে রাখা অনেক কঠিন কাজ।
তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর মনে-প্রাণে পশ্চিমা ধ্যান-ধারণায় বিশ্বাসী এই নারী টানা উদ্বেগ প্রকাশ করে চলেছেন দেশবাসী ও নারী ক্রীড়াবিদদের জন্য। তার রয়েছে ‘গার্ল পাওয়ার’ নামে একটি মানবাধিকার সংস্থা, যাদের মূল কাজ এখন আফগান ক্রীড়াবিদদের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেয়া।
খালিদা পোপাল জানান, কাবুলের পতনের আগে আমাদের দারুণ একটি ফুটবল অবকাঠামো ছিল। জাতীয় দল ছিল, ক্লাব ছিল, বয়সভিত্তিক দল ছিল প্রদেশ পর্যায়েও। প্রায় তিন থেকে চার হাজার নারী ফুটবলার ছিল আমাদের। বলতে পারেন তারা কোথায় গেলো?
শাসন ক্ষমতায় তালেবান আসায় বিভিন্ন খেলায় নারীদের পক্ষে জাতীয় দলের হয়ে এখন আর আর্ন্তজাতিক খেলায় অংশ নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে রিফিউজি টিম বা শরণার্থী দল হিসেবে অংশ নিতে যা যা করার, তার সব কিছুই করতে চান খালিদা পোপাল।
/এম ই
Leave a reply