শব্দের চেয়ে ছয়গুণ দ্রুতগতিসম্পন্ন ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক পালস (ইএমপি) ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে চীন। এই বোমা রাসায়নিক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চোখের পলকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে কোনও শহরের যোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে মানুষের জনজীবন স্থবির করে দিতে পারে।
চীনের একাডেমি অব লঞ্চ ভেহিকল টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা বলছেন, তাদের তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্র তিন হাজার কিলোমিটার দূরেও শব্দের চেয়ে ছয়গুণ দ্রুতগতিতে আঘাত হানতে পারে। শুধু তাই নয়, এই ক্ষেপণাস্ত্র এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা নজরদারি চালানোর জন্য মহাকাশের আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থাকেও ধোঁকা দিতে পারে।
লক্ষ্যবস্তু হিসেবে নির্ধারিত এলাকায় এই অস্ত্র আঘাত হানার পর সেখানে রাসায়নিক বিস্ফোরণ ঘটায় এবং ফ্লাক্স কমপ্রেশন জেনারেটর নামে পরিচিত বৈদ্যুতিক চার্জযুক্ত চুম্বককে সংকুচিত করে। এর ফলে তৈরি হওয়া শক এনার্জি অত্যন্ত শক্তিশালী ইলেকট্রন ও চুম্বকীয় শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
অন্যান্য অপারমাণবিক ইএমপি বোমার তুলনায়, এই অস্ত্রটিতে কোনও ব্যাটারি থাকবে না বলে জানিয়েছেন চীনের সামরিক বিজ্ঞানীরা। তারা বলেছেন, ব্যাটারির ড্রাই সেলের পরিবর্তে এতে সুপার-ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হবে।
একসঙ্গে লাখ লাখ বজ্রপাতের সময় যে আলোকরশ্মি তৈরি হয়, ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক পালস (ইএমপি) এক আঘাতেই তারচেয়ে বেশি রশ্মি সৃষ্টি করতে পারে। বজ্রপাতের মতোই অবকাঠামো, বৈদ্যুতিক লাইন, বিমান, রাডার, উন্নত কম্পিউটার এবং আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ধ্বংস করতে সক্ষম এই ইএমপি।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও এশিয়ার চীন ও ভারত এই অস্ত্র তৈরি করছে। তবে ভবিষ্যতে অনেক দেশের সামরিক বাহিনী এমনকি বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীও এই অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন করতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক পিটার প্রাই।
Leave a reply