কট্টর সমালোচক মুরাতভের নোবেল প্রাপ্তিতে যে প্রতিক্রিয়া দেখালো রুশ সরকার

|

প্রতিকূল পরিবেশে ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্যে এ বছর ফিলিপাইনের মারিয়া রেসার সাথে শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল পুরষ্কার পেয়েছেন রাশিয়ার দিমিত্রি মুরাতভ। দীর্ঘদিন ধরে নিজ নিজ দেশে দুর্নীতি, পুলিশি নির্যাতন, ক্ষমতাসীনদের অত্যাচার এবং নির্বাচনে কারচুপির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার স্বীকৃতি হিসেবে তাদেরকে এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে। নোবেল কমিটি বলছে, এ সম্মাননা প্রতিকূল পরিবেশে সংবাদকর্মীদের দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করবে।

দিমিত্রি মুরাতভ যে সংবাদপত্রের প্রধান বার্তা সম্পাদক সেই নোভায়া গেজেটাকে রাশিয়ার রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত একমাত্র গণমাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার সংবাদপত্রের মাধ্যমে গেলো ২৪ বছর ধরে দুর্নীতি, পুলিশি নিপীড়ন, বিচার বর্হিভূত গ্রেফতার, নির্বাচনী জালিয়াতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ৫৯ বছর বয়সী এ সাংবাদিক। তবে তা সত্ত্বেও দিমিত্রি মুরাতভ নোবেল পাওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দফতর- ক্রেমলিন।

তারা বলেছে, রাশিয়ান প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি আন্দ্রেইভিচ পেসকভ শান্তিতে নোবেল জয়ের জন্য দিমিত্রি মুরতভকে অভিনন্দন। তিনি বরাবরই নিজ আদর্শ অনুসারে কাজ করেছেন, নীতির ব্যাপারে দেননি এক চুলও ছাড়। নিঃসন্দেহে তিনি প্রতিভাধর ও সাহসী। তার কাজের যথার্থ মূল্যায়ন হলো এতোদিনে।

অন্যদিকে জাতিসংঘের অভিমত, সাংবাদিকতার মতো গুরুত্বপূর্ণ পেশাকে নোবেলে ভূষিত করাটা খুবই জরুরি ছিল। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা, ইউএনএইচআরসির মুখপাত্র রাভিনা শ্যামদাসানি বলেন, বরাবরই রাশিয়া ও ফিলিপাইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং তথ্য অধিকারের ব্যাপারে জাতিসংঘ উদ্বিগ্ন। শুধু এই দুটি দেশ নয় বরং গোটা বিশ্বেই সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়া হচ্ছে। করা হচ্ছে নির্যাতন ও হত্যা। সুতরাং, সাংবাদিকদের সম্মান জানানোটা সময়ের দাবি ছিল।

সম্মাননা পাওয়া দু’জন প্রতিনিধিত্ব করছেন বিশ্বের সেসব সাংবাদিককে যারা প্রতিকূল পরিবেশে কাজ করে সংবাদ সংগ্রহ করছেন বলে মন্তব্য নোবেল কমিটির।

প্রসঙ্গত, দিমিত্রি আন্দ্রেইভিচ মুরাতভের জন্ম রাশিয়ার সামারায়, ১৯৬১ সালে।………


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply