তামাক চাষের জমিতে পেঁপে আর মাল্টা চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন লালমনিরহাটের এক কলেজ শিক্ষক। মাত্র এক লাখ টাকা বিনিয়োগে প্রতি মৌসুমে দশ লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। স্বল্প পুঁজিতেই, এমন সাফল্য দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন অনেকে।
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম সরকারি কলেজের শিক্ষক আব্দুল্লাহ আল মামুনের গ্রামের বাড়ি আদিতমারীর পূর্ব দীঘলটারীতে। বাড়ির পাশেই থাকা ৬ বিঘা জমি বর্গা দিয়েছিলেন প্রতিবেশীর কাছে। বছরখানেক আগেও সেখানে চাষ হতো তামাক। করোনার মধ্যে সহকর্মীদের উৎসাহে সাত মাস আগে ৮ শ পেঁপে আর ৮ শ মাল্টার চারা দিয়ে গড়ে তোলেন মিশ্র ফলের বাগান।
স্বল্প সময়ে তাক লাগিয়ে দেয়া পেঁপের ফলন দেখে অবাক তিনি নিজে, অবাক করেছেন আশপাশের আরও অনেককে। তার সাফল্যে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন অন্যান্য কৃষকরা। আশেপাশের উপজেলার অনেকে তার কাছে আসছে পরামর্শ নিতে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ডিডি শামীম আশরাফ মনে করেন, এ ধরনের উদ্যোগ স্থানীয়ভাবে ফলের চাহিদা মেটাবে। পাশাপাশি তামাক চাষকেও নিরুৎসাহিত করবে। আর তামাকের জমিতে ফলের বাগান করাকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন এলাকার সচেতন মানুষ।
Leave a reply