গরুর গলায় বেঁধে আনা হচ্ছে মাদক

|

করোনায় সীমান্তে বেড়েছে মাদক চোরাচালান। বিভিন্নভাবে শোনা যাচ্ছে, ওপার থেকে এপারে মাদক আনার খবর। এবার জানা গেলো, কুড়িগ্রামের অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে গরুর গলায় বেঁধে বিশেষ প্রক্রিয়ায় আনা হচ্ছে বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্য। মাদক ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত তাদের কৌশলও পাল্টাচ্ছে। ফাঁকি দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ। যদিও তালিকা করে তাদের ধরার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকার কথা বলছে পুলিশ।

বিশেষ প্রক্রিয়ায় সীমান্তের ওপর থেকে এপারে আসছে গরু। দুপাশেই সক্রিয় চোরাচালান চক্র। গরু পার করার জন্য ব্যবহার হচ্ছে বাঁশের তৈরি কাঠামো ‘আরকি’। কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙা সীমান্তে গিয়ে দেখা গেলো কয়েকজনকে আরকি তৈরি করতে। স্থানীয়রা জানালেন, গরু পার হবার পর গলায় বেঁধে দেয়া হয় মাদকের ছোট ছোট চালান। কখনও আনা হয় স্কচ টেপ পেঁচিয়ে, কখনও সিগারেটের প্যাকেটে মুড়িয়ে, কখনও আবার প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে। গরুর মাধ্যমে দীর্ঘপথ মাদক নিয়ে আসায় ঝুঁকি এড়ানো যায় অনেকখানি। কিছুটা হলেও ফাঁকি দেয়া যায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের চোখ।

জেলায় নদীপথ ও কাঁটাতারহীন সীমান্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার। বিভিন্ন সরকারি সংস্থার তথ্য, জেলার সাত উপজেলার ৮০টি পয়েন্ট দিয়ে মাদকসহ আসে বিভিন্ন পণ্যের চালান। করোনায় যার পরিমাণ আরও বেড়েছে।

প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় কারণে মাদকব্যবসায়ীরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে, বলছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। যদিও নতুন করে তালিকা করে তাদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া অব্যাহত, জানালেন কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা।

শুধু পাচারই না সীমান্তের তরুণ সমাজের বড় একটি অংশও হয়ে পড়েছে মাদকাসক্ত। যা বড় চিন্তার কারণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply