এ সপ্তাহে নিজেদের সবচেয়ে বড় সামরিক বিমান মহড়া শুরু করেছে ইসরায়েল। যাতে পশ্চিমের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি যোগ দিয়েছেন আরব আমিরাতের বিমানবাহিনী প্রধান মোহাম্মদ আল আলাউয়ি।
২০১৩ সাল প্রতি দুই বছরে একবার দেশটির নেগেভ মরুভূমিতে কথিত ব্লু ফ্ল্যাগ নামক এই বিমান মহড়া চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এবারের মহড়ায় অংশ নিয়েছে ৭০ টি ফাইটার-জেটসহ মাইরেজ ২০০০, রাফায়েল এবং এফ-১৬ এর মতো বাঘা বাঘা সব যুদ্ধবিমান।
যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স তো বটেই, এবারের মহড়ায় প্রথমবারের মতো ইসরায়েল ভূখণ্ডে নিজেদের বিমান উড়িয়েছে যুক্তরাজ্যও। য়ারব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের বিমান না উড়ালেও তাদের উপস্থিতিকে ‘ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ’ বলছেন ইসরায়েলি বিমানবাহিনী প্রধান আমির লাজার।
উল্লেখ্য, গত বছরেই বেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কোর মতো বেশ কিছু আরব দেশের সাথে কূটনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে ইসরায়েল। দেশটির বিমানবাহিনী প্রধান এবার চাইছেন শীঘ্রই আরব আমিরাতের বিমানকেও নিজ দেশের মহড়ায় দেখতে।
এদিকে ইরানের সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈরিতাই ইসরায়েলের বিমান-মহড়ায় তাদের যুক্ত হবার অন্যতম প্রভাবক। কেননা, ইরানকেই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় ‘হুমকি’ মনে করে ইসরায়েল।
এবারের বিমান মহড়াটি অবশ্য ইরানের উদ্দেশ্যে নয় বলে জানালেও আমির লাজার বলেন, ইরানই আমাদের সামরিক পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু।
ইসরায়েলের অভিযোগ, ইয়েমেন, সিরিয়া, লেবানন, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্নস্থানে বিধ্বংসী ড্রোন সরবরাহ করছে ইরান। তাই আরব আমিরাত ও বাহরাইনকে সাথে নিয়ে ইরানবিরোধী জোটকে মধ্যপ্রাচ্যে শক্তিশালী দেখতে চায় ইসরায়েল। যদিও ইরান শুরু থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।
Leave a reply