কুমিল্লার ঘটনায় কারা আছে নজরদারিতে?

|

কুমিল্লায় মণ্ডপে হনুমানের মূর্তির কোলে কোরআন শরিফ রাখার ঘটনায় দায়েরকৃত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মামলায় নজরদারিতে আছে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। সম্প্রতি এমন তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। কিন্তু তারা কারা?

প্রশ্নের উত্তর মূলত খোঁজা হচ্ছে ঘটনার সময় ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে। ঘটনাস্থলে নানা তৎপরতায় সক্রিয় ছিল ইকবাল, ট্রিপল নাইনে ফোন করা ইকরাম ও ঘটনাস্থল থেকে ফেসবুক লাইভ করা ফয়েজ। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কুর সহকারী বাবুকেও দেখা যায় বেশ তৎপর ভূমিকায়। ঘটনা বেগতিক বুঝে পরে গা ঢাকা দেয় বাবু। তার বাসার গেটে ঝুলছে তালা। পাওয়া যাচ্ছে না পরিবারের অন্য সদস্যদেরকেও।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলছেন, মন্দিরে হামলার ঘটনায় বাবু জড়িত থাকলে দ্রুত উচিত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। অপরাধী যেই হোক, তাকেই আইনের আওতায় আনা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আলোচিত এই মামলায় ইকবালসহ ৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুই দফায় ১২ দিন রিমান্ডে ছিল তারা। চার জনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদে। ঘটনার সময়কার সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণের পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে জড়িতদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাও। সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান বলছেন, সবকিছু বিশ্লেষণ করেই পাওয়া পাবে ঘটনার মূল হোতাদের।

১৩ অক্টোবর সকালে নানুয়ার দিঘী এলাকায় অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ থেকে কোরআন উদ্ধারের পর সহিংসতার চেষ্টা করে কিছু লোক। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয় ইকবালকে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী উদ্ধার করা হয় খোয়া যাওয়া হনুমানের গদা।

কুমিল্লায় কোরআন অবমাননার ঘটনার পর সহিংসতা বৃদ্ধিতে উস্কানিদাতাদের শনাক্তে ব্যবহার করা হচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইস।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply