জালিয়াতির দায়ে কনস্টেবলদের চাকরি গেলেও নিয়োগদাতাদের হয়েছে পোস্টিং

|

জালিয়াতি প্রমাণের পর ১৮ কনস্টেবলকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তবে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

জালিয়াতি আর মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেয়া চক্রের বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ সদর দফতর। উল্টো অভিযুক্ত কর্মকর্তারা পছন্দমতো ভালো পোস্টিং বাগিয়ে নিয়েছেন। এমন ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, টিআইবি।

নারায়গঞ্জের রুপগঞ্জে স্থায়ী ঠিকানা দেখিয়ে কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছিলেন ১৮ তরুণ। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর তাদের জমি কেনাসহ অন্যান্য অনেক তথ্য গোপন করেছিলেন রূপগঞ্জের তখনকার ওসি মাহমুদুল হাসান। এমনকি মাহমুদুল হাসান একজন পরিদর্শক হয়েও সম্পূর্ণ নিয়মের বাইরে গিয়ে ঐ তরুণদের চাকরির সুপারিশ করেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সুপারিশে ২০০৫ সালে চাকরি পাওয়া মাহমুদের সে সুপারিশ অনুমোদন করেন তখনকার জেলা পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তারাও।

সদর দফতরের তদন্ত কমিটি ওসি মাহমুদুল হাসান ছাড়াও, ইনস্পেক্টর নজরুল ইসলাম ও আসলাম হোসেনসহ ৬ উপপরিদর্শকের দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা, গাফিলতি ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করে।

তদন্তে জালিয়াতি প্রমাণের পর বিভিন্ন জেলায় সদ্য যোগ দেয়া ১৮ তরুণ কনস্টেবলকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তবে অনিয়ম আর জালিয়াতিতে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আর এতেই উদ্বেগ জানিয়েছে টিআইবি। এমন পরিস্থিতিতে পুলিশের প্রতি জনমনে আস্থাহীনতা তৈরির আশঙ্কা রয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

তবে পুলিশে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে টিআইবির এমন উদ্বেগের কারণ নেই বলে মনে করেন সাবেক আইজিপি একেএম শহীদুল হক।

সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত রূপগঞ্জের তখনকার ওসি মাহমুদুল হাসান বর্তমানে ডিএমপিতে, আসলাম হোসেন ব্রা ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং নজরুল ইসলাম মুন্সিগঞ্জে পোস্টিং পেয়েছেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply