তীব্র ঠাণ্ডা ও খাদ্য সঙ্কটে মানবেতর দিন কাটছে পোল্যান্ড সীমান্তে অবস্থানকারী বেলারুশের অভিবাসন প্রত্যাশীদের। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের। মরদেহ দাফনে এগিয়ে এসেছে পোল্যান্ডের মুসলিম কমিউনিটি। অভিবাসন সংকট নিয়ে বেলারুশের সাথে যখন পোল্যান্ডের উত্তেজনা তুঙ্গে, তখন দেশটির মুসলিম কমিউনিটির এমন উদ্যোগ তৈরি করেছে মানবতার দৃষ্টান্ত।
সীমান্তে নিহত সিরীয় এক অভিবাসন প্রত্যাশীর মরদেহ দাফন করা হয় ধর্মীয় রীতি মেনে। পোল্যান্ডের মুসলিম কমিউনিটির সহায়তার সম্পন্ন হয়েছে মরদেহ দাফনের কাজ।
পোল্যান্ডের মুসলিম কমিউনিটির চেয়ারম্যান মাকসেজ স্ট্রেসনোভিজ বলেন, নিহত ছেলেটি মুসলিম। তাই সব রকম ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই তার দাফন সম্পন্ন করলাম। ভিডিও কলে তার পরিবারের সদস্যদেরও যুক্ত করা হয়েছিল। মূলত এই মানুষটিকে মর্যাদাপূর্ণ একটি জানাজা দিতে চেয়েছিলাম। ধর্ম- বর্ণের ভিত্তিতে নয়, আমরা সবাইকে সহযোগিতা করতে চাই। মানবতার প্রশ্নে সবাই সমান।
একই সময়ে বাস্তুচ্যুতদের ঢল ঠেকাতে সীমান্তে নিরাপত্তা আরও বাড়িয়েছে পোল্যান্ড। এ পর্যন্ত মোতায়েন করা হয়েছে অন্তত ১৫ হাজার সেনা। অভিবাসন সংকট নিয়ে পাল্টাপাল্টি দোষারোপের মাঝেই পঞ্চম দফায় ইইউর নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে লুকাশেঙ্কো প্রশাসন। অভিবাসন প্রত্যাশীদের পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়া সীমান্তে পৌঁছে দেয়ার দায়ে বেলারুশের এয়ারলাইনসগুলোর বিরুদ্ধে বাড়ানো হয়েছে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা।
পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিবিগনি রাউ বলেন, বেলারুশের এয়ারলাইনসগুলোকে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে একমত হয়েছি। পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়ার বিরুদ্ধে মিলিত একটি পরিকল্পনা এটি। কারণ গেল নির্বাচনে লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে কথা বলা গণতন্ত্রপন্থীদেরকে সমর্থন দিয়েছিলাম আমরা।
পোল্যান্ড-বেলারুশ চলমান দ্বন্দ্বের জন্য আবারও রাশিয়াকে দোষারোপ করেছে ওয়াশিংটন। তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে বরাবরের মতোই একে অভ্যন্তরীণ সঙ্কট বলে উল্লেখ করেছে মস্কো।
Leave a reply