স্বাভাবিক হবে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক!

|

ছবি: সংগৃহীত

জো বাইডেন ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকের পর চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে, এমন আশাবাদ আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের।

জিনপিং-বাইডেন বৈঠকের পর এখন আলোচনা তুঙ্গে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভবিষ্যত নিয়ে। বিশ্বের শীর্ষ দুই পরাশক্তির মাঝে চলমান সংকটগুলোর কতটুকু সমাধান হবে কিংবা আদৌ হবে কি না তাই নিয়ে চলছে বিচার-বিশ্লেষণ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, হুমকি-হুঁশিয়ারির মাধ্যমে কোনো সমাধান আসবে না এটি স্পষ্ট হয়েছে দুই নেতার সামনে। বৈঠকে তাদের আচরণ ছিলো যথেষ্ট ইতিবাচক এবং সহযোগিতাপূর্ণ। এমনকি তাইওয়ান ইস্যুতেও সুর নরম করবে দুপক্ষই, এমনটি বলছেন বিশ্লেষকরা।

ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের পল হ্যানালি বলেন, বৈঠকটি অবশ্যই চীন-মার্কিন বৈরিতা অবসানের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। দুটি দেশই বাণিজ্য, সামরিক এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্বী। তবে এই প্রতিযোগিতাকে ইতিবাচকভাবে নেয়া যায়। এবং এটা দুই নেতাই ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। একারণেই এই বৈঠকের পর বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে।

বাণিজ্য যুদ্ধ, উইঘুরে মানবাধিকার লঙ্ঘন, হংকং-তাইওয়ানের মতো ইস্যু নিয়ে কথা হলেও, সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে তাইওয়ান অঞ্চলে চলমান সামরিক উত্তেজনা নিয়ে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দুই নেতার বৈঠকের পর স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।

ব্রুকিংস ইনস্টিটিউটের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক গবেষক ব্রুস জোন্স বলেন, শি জিনপিংয়ের আচরণ কিংবা ভাষা আপনি লক্ষ্য করুন। উনি কিন্তু তাইওয়ানে মার্কিন হস্তক্ষেপের বিষয়ে একবারের জন্যও প্রেসিডেন্ট বাইডেন কিংবা প্রশাসনকে দায়ী করেননি। শুধু কিছু রাজনীতিবিদ এবং কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করেছেন।

সেন্টার ফর চায়নার প্রেসিডেন্ট ওয়্যাং হুয়েইও বলেন, তাইওয়ান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে হলে দু’পক্ষকেই সংযত আচরণ করতে হবে। সেখানে মার্কিন নৌবাহিনীর উপস্থিতির কারণেই পাল্টা জবাব হিসেবে যুদ্ধবিমান পাঠাচ্ছে চীন। আবার বিপরীত চিত্রও আছে। আসলে দু’পক্ষই বুঝতে পেরেছে হুমকি-হুঁশিয়ারি দিয়ে আসলে কোনো সমাধান আসবে না।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply