বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য টানা ৮ ঘণ্টা পরীক্ষা! শুনতে অবাক লাগলেও এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় দক্ষিণ কোরিয়ার লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে। পরীক্ষা উপলক্ষে রীতিমতো উন্মাদনা চলে গোটা দেশে। এদিন ট্রাফিক জ্যাম এড়াতে পিছিয়ে দেয়া হয় অফিস, আদালত এমনকি ব্যাংকিং কার্যক্রমও।
দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা মানেই একটা যুদ্ধের ময়দান। দেশটির শিক্ষার্থীদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয় এই পরীক্ষাকে। প্রতি বছর নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়া এই পরীক্ষা ব্যবস্থাকে ইংরেজিতে বলা হয় কলেজ অব স্কলাসটিক অ্যাবিলটি বা সিস্যাট।
৮ ঘণ্টার এই ভর্তি পরীক্ষা দেশটির জাতীয় জীবনেও ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ঐদিন ঢেলে সাজানো হয় দেশটির ট্রাফিক ব্যবস্থাও। যানজট এড়াতে বাজার-ঘাট, অফিস-আদালত, এক ঘণ্টা পিছিয়ে খোলার নির্দেশ দেয়া হয়। দীর্ঘদিন চলে আসা এই নিয়মের ব্যত্যয় হয়নি করোনাকালেও। শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার আগ্রহ বেশি হওয়ায় তারাও পরীক্ষাটিকে নেয় খুব গুরুত্বের সাথে।
শিক্ষার্থীদের মনোযোগ যেন নষ্ট না হয়ে যায় এ জন্য গোটা পরীক্ষা কেন্দ্র এলাকায় বজায় রাখা হয় পিনপতন নিরবতা। এসব ব্যবস্থাপনায় নামানো হয় সেনাবাহিনী। প্রার্থনায়ও বসেন অভিভাবকরা।
৫০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষার জন্য এবছর হলে বসেছেন ৫ লাখ ৯ হাজার শিক্ষার্থী। যাদের শরীরে করোনা উপসর্গ রয়েছে তাদের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে হাসপাতাল এবং বিশেষ ব্যবস্থায়।
Leave a reply