আইএস বধূ হিসেবে দিন কাটছে শামীমার; হতে চান বিচারের মুখোমুখি

|

ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটেনে বিচারের মুখোমুখি হতে চান জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস’র সাবেক সদস্য শামীমা বেগম। বর্তমানে সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া এই তরুণীর নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়া হলেও যেকোনো উপায়ে ফিরতে চান তিনি। সেকারণেই তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তার মুখোমুখি দাঁড়াতে আগ্রহী তিনি।

চিরাচরিত ধর্মীয় পোশাকের বদলে খোলামেলা পশ্চিমা পোশাকে আগেই অভ্যস্ত হয়েছেন শামীমা। সিরিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে কোনোরকমে এখন দিন কাটছে আইএস বধূ হিসেবে পরিচিত শামিমা বেগমের।

ব্রিটিশ সরকার শামীমার নাগরিকত্ব বাতিল করেছে আগেই। বার বার আবেদন করলেও তা গ্রহণ করেনি লন্ডন। তবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি।

শামীমা বেগম বলেন, আমি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করি না। এমনকি আমি আমার দেশ ব্রিটেনকেও কখনো ঘৃণা করিনি। কর্তৃপক্ষের উচিত আমাকে ব্রিটেনে ফিরিয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা। যত দীর্ঘ সময় নিয়ে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় করতে পারে। তাহলেই তারা বুঝবে যে আমি সত্যি বলছি। প্রয়োজন হলে তারা আমাকে বিচারের মুখোমুখি করুক আমি তাতেও রাজি। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ যখন আমার কথা বিশ্বাস করবে, তখন সাধারণ নাগরিকরাও আমাকে বিশ্বাস করবে।

১৫ বছর বয়সে আইএসে যোগ দেন শামীমা। তিনি বলেন, অন্যান্য টিনএজারদের মতো আমিও ওই বয়সে মানসিকভাবে খুব দুর্বল ছিলাম। ফলে খুব সহজেই আমাকে ভুল বোঝানো গেছে। কিন্তু তখন যদি পরিণত বয়সের হতাম তাহলে কখনোই জঙ্গিদের কথায় প্রভাবিত হতাম না। আমার চিন্তাধারা এবং বিশ্বাসে পরির্বতন এসেছে। আমি জানি আমার পরিবার কিংবা আমার সমাজ আমাকে মেনে নেবে না। তাই আমি নতুন পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি।

আইএসে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ায় পাড়ি জমান শামীমা। সাথে ছিলেন তার আরও ২ বান্ধবি। এরপর সিরিয়ায় গিয়ে বিয়ে করেন ডাচ এক আইএস সদস্যকে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply