আফগানিস্তানে টেলিভিশন কীভাবে চলবে তা নিয়ে নতুন নিয়ম জারি করেছে তালেবান প্রশাসন। নতুন এ নিয়ম অনুযায়ী টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনে নারীদের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করেছে তালেবান। দেশটিতে নারীদের সাংবাদিকতা এখনও নিষিদ্ধ না করলেও টেলিভিশন পর্দায় নারী উপস্থাপিকাদের হিজাব পরার নির্দেশ দিয়েছে তারা। খবর বিবিসি’র।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের পর তালেবান আবারও আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফিরলে আফগান নারীদের ভবিষ্যত নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা। তালেবান ক্ষমতা দখলের পরপরই দেশটির নারী রাজনীতিবিদদের অনেকে দেশ ছেড়েছেন। নারী ক্রীড়াবিদ, অভিনেত্রী-শিল্পী, সাংবাদিক, অধিকারকর্মীরা চলে যান আত্মগোপনে, অনেকেই ছেড়েছেন দেশ।
দুই দশক পর আবারও আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তালেবান আশ্বাস দিয়েছিল যে, তাদের প্রশাসনে নারীরা অধিকার পাবে ‘শরিয়া আইন অনুযায়ী’। তবে এখন ধীরে ধীরে তারা পুরনো সেই কঠোরতার দিকেই যাচ্ছে বলেই আশঙ্কা অনেকের।
আফগান টেলিভিশনে উপস্থিতিতে নারীদের জন্য যে নতুন নির্দেশানা জারি করেছে তালেবান, সেখানে মোট আটটি বিধিনিষেধ রয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শরিয়া আইন কিংবা আফগান মূল্যবোধ বিরোধী চলচ্চিত্র টেলিভিশনে দেখানো যাবে না। এমন কোনো ভিডিও দেখানো যাবে না, যেখানে পুরুষের শরীরের ব্যক্তিগত কোনো অংশ প্রকাশ্যে আসে। কমেডি কিংবা বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানে ধর্মের অবমাননা হয় বা আফগানদের জন্য আপত্তিকর বলে বিবেচিত হতে পারে এমন কিছুই দেখানো যাবে না। বিদেশি বিশেষত পশ্চিমা সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের প্রচার করে- এমন চলচ্চিত্রও আফগান টিভিতে সম্প্রচার করা যাবে না। এমন টিভি নাটক বানানো ও প্রচার করা যাবে না যার প্রধান চরিত্র এক বা একাধিক নারী।
নতুন বিধি প্রণয়ন প্রসঙ্গে আফগান সাংবাদিকদের সংগঠন হুজ্জাতুল্লাহ মুজাদ্দেদি বলেছে, নতুন এ বিধিনিষেধ খুবই অপ্রত্যাশিত, এ নির্দেশনার কোনো নিয়ম বাস্তবসম্মত নয়। ফলে এটা কার্যকর করা হলে টেলিভিশন সম্প্রচারই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তালেবানের এ নতুন নিয়ম অস্পষ্ট এবং ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে।
Leave a reply