ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বেশিরভাগেরই উপসর্গ মৃদু-বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিশিষ্ট চিকিৎসক-গবেষক ড. উনবেন পিল্লাই। দেশটিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে গাওতেং প্রদেশে। সেখানেই কর্মরত চিকিৎসক-গবেষক ড. উনবেন সম্প্রতি ওমিক্রনের উপসর্গ নিয়ে এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন। খবর ওয়ান ইন্ডিয়ার
সোমবার (২৯ নভেম্বর) এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সেখানকার পরিস্থিতি বর্ণনা করার সময় অমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের বেশির ভাগেরই উপসর্গ মৃদু বলে জানিয়েছেন ড. উনবেন। ।
এসময় ড. উনবেন বলেন, এখন পর্যন্ত ওমিক্রনের যেসব উপসর্গ দেখা গেছে তা খুব মৃদু। জ্বর জ্বর অনুভূতি, শুকনা কাশি, জ্বর, রাতে ঘাম ও গায়ে প্রচণ্ড ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে রোগীদের মধ্যে। তিনি মনে করেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীর চিকিৎসা বাড়িতেই সম্ভব। দেখা গেছে, রোগীদের মধ্যে ইতোমধ্যে যারা টিকা নিয়েছেন, তারা টিকা না নেয়া রোগীদের তুলনায় ভালো দ্রুত সেরে উঠছেন।
ড. উনবেন আরও বলেন, অমিক্রনে আক্রান্তদের বেশির ভাগের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। এ বয়েসী রোগীদের মধ্যে কোভিডের উপসর্গ সাধারণত মৃদুই হয়।
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় সর্ব প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সনাক্তকারী ও সাউথ আফ্রিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন ড. অ্যাঞ্জেলিক কোয়েটজি জানিয়েছেন, ওমিক্রনে আক্রান্তদের উপসর্গ মৃদু এবং ঘরে থেকেই এর চিকিৎসা সম্ভব।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আফ্রিকায় শনাক্ত হয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা, ডেলটাসহ করোনার আগের সকল ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রন অন্তত ৬ গুণ বেশি সংক্রামক। তবে ওমিক্রন আসলেই কতটা সংক্রামক বা মারাত্মক তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা।
/এসএইচ
Leave a reply