আমরা আবারও একজন সত্যেন বোস পেতে চাই: ড. দীপু মনি

|

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিবৃন্দ।

শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি বলেছেন, আবার আমরা একজন সত্যেন বোস পেতে চাই। কিন্তু পাচ্ছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার ঘাটতি পূরণ করতে হবে। পৃথিবীর অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ছাড়া শিক্ষক নিয়োগ হয় না। সেখানে স্নাতক পাশ করলেই কাউকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার যৌক্তিকতা নেই।

আজ বুধবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষায় বড় একটা পরিবর্তন আনতেই হবে, আমরা সবাইকে শিক্ষার মধ্যে এনেছি। তবে এখন গুণগত মানের উন্নয়ন করতে হবে। কেউ যদি উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে চলে যায় তবে তাকে যেতে দিন। মানুষের বিশ্বাস আর আস্থা তৈরিতে ধোঁয়াশা তৈরি করা ঠিক না।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা যদি জাতির পিতা ও আওয়ামী লীগ এর জন্মলগ্ন দেখি, বিভিন্ন ঘোষণাপত্র ও ইশতেহার দেখি তাহলে তার প্রতিটিতে দেখা যাবে আমরা যা বিশ্বাস করি, করে দেখাতে চাই তা করে দেখিয়েছি। এখানেই আওয়ামী লীগের সাথে অন্যান্য দলের তফাৎ। যেহেতু আওয়ামী লীগ বিশাল একটি দল তাই স্বাভাবিকভাবে আমাদেরও ত্রুটি বিচ্যুতি আছে। তবে জেনেশুনে কখনও দেশের সাথে অন্যায় করিনি।

মেধাভিত্তিক সমাজ গঠন শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্য যেনো কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীর জন্য বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। মেধাভিত্তিক একটি সুন্দর সমাজ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। গবেষণায় বিনিয়োগ আরও বাড়াতে হবে আমাদের।

দীপু মনি বলেন, আমরা প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লব নানা সীমাবদ্ধতায় ধরতে পারিনি। আমরা পরাধীন ছিলাম, স্বাধীন হয়েও একসময়ে পিছিয়ে পড়তে হয়। তাই চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সফল অংশীদার হবার কোনো বিকল্প নেই। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও আমাদের পরিবারে গণতন্ত্র বিরোধী চর্চা চলে আসছে। ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করতে নিরুৎসাহিত করা হয়, তাদেরকে বেশি প্রশ্ন করতে দেয়া হয় না।

পরীক্ষা পদ্ধতি দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এ সময় ড. দীপু মনি বলেন, পরীক্ষার চাপ থেকে শিশুদের মুক্তি দিতে হবে। পরীক্ষার চাপ কমাতে সরকার কাজ করছে। মূল্যায়ন পদ্ধতি থেকে শুরু করে পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন নিয়ে আসা হচ্ছে। তাই বলে শিক্ষার্থীদের সাথে গিনিপিগের মত পরীক্ষা করা হচ্ছে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। পৃথিবীর যত দেশ শিক্ষায় সাফল্য পেয়েছে তারা কারিগরি শিক্ষাকে সঙ্গী করেই সাফল্য পেয়েছে।

দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এ সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার নেতৃত্বে যেহেতু শেখ হাসিনা আছেন তাই তিনি স্বপ্নকে হাতের মুঠোয় আনবেন। পদ্মা সেতু একটি আত্মমর্যাদার প্রতীক। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে একটি চক্র দেশ অস্থিতিশীল করতে চাইছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা এখন বেশি সক্রিয়।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply