ধূমপান বন্ধের সিদ্ধান্তে খুশি নিউজিল্যান্ডের মানুষ

|

সিগারেট নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডে। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) এ নিয়ে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন দেশটির স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আয়েশা ভিরেল। আর এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডে মানুষ। তারা বলছেন, এ আইনের মাধ্যমে পরোক্ষ ধূমপানের হাত থেকে রক্ষা পাবে অধূমপায়ী ও শিশুরা, বাঁচবে অর্থও। এছাড়া তামাক উৎপাদন কমানোর ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলেও দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে।

ধূমপান মৃত্যুর কারণ, ধূমপানে ক্যান্সার হয় এমন স্লোগানেও নিরুৎসাহিত করা যায় না ধূমপায়ীদের। এবার আরও কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড সরকার। আগামী প্রজন্মকে ধূমপান মুক্ত করতে সিগারেট নিষিদ্ধ হচ্ছে নিউজিল্যান্ডে। ২০২২ সালেই এটি আইনে পরিণত করতে চায় দেশটির সরকার। আইনটি পাস হলে  ২০২৭ সাল থেকে ১৪ বছর বা তার কম বয়সীরা কোনোভাবেই সিগারেট কেনার অনুমতি পাবে না। এমনকি ১৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরা প্রকাশ্যে কিনতে পারবেন না সিগারেট।

নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আয়েশা ভেরাল বলেন, তরুণরা যেন কখনোই ধূমপান না করে এটা নিশ্চিত করতে চাই। গড়তে চাই মাদকমুক্ত প্রজন্ম। এটি যে সব বয়সী মানুষের জন্যই অনিরাপদ সেটা শুধু বার্তার মাধ্যমেই নয়, আইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার। তামাক উৎপাদন কমানোর ওপরও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

নিউজিল্যান্ড স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এমন ঘোষণায় খুশি দেশটির সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের এ সিদ্ধান্ত মানুষকে পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া তরুণদের নিকোটিনে আসক্ত হওয়ার শঙ্কাও অনেক কমে আসবে।

তবে সাধারণ মানসুষ বলছে, ধূমপানের বিকল্প সবসময়ই আছে। অনেকে ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করার জন্য ভ্যাপার খাওয়া শুরু করে। এটাও গুরুত্বের সাথে দেখা উচিত।

আরও পড়ুন : সিগারেট নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ডে

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাত্র ৫০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে যাদের বয়স ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে তাদের প্রায় ১১ দশমিক ৬ শতাংশই ধূমপায়ী। ভুটানের পর নিউজিল্যান্ড হবে বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ যেখানে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে সিগারেট।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply