ভবিষ্যতে দেশকে এগিয়ে নিতে নতুন প্রজন্মকে দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল দিবসের এক অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান। বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের যে লক্ষ্য ছিল তা অর্জনে সক্ষম হয়েছে সরকার। এর পেছনে সহায়তা করেছে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন, উপকৃত সকল জনগণ— এই স্লোগানে পালন করা হচ্ছে জাতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী আয়োজন। গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বেশ কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, এসব অনুষ্ঠানের ধারণা মূলত সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকেই পেয়েছেন তিনি।
গেলো এক যুগে তথ্য প্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই খাতে রফতানি পৌঁছেছে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা পৌঁছে গেছে সাধারণ মানুষের হাতে হাতে। এর আগে, লক্ষ্য নির্ধারণ করে শুরু হয় কাজ। পিছিয়ে পড়া তথ্য প্রযুক্তি খাতকে দেয়া হয় অগ্রাধিকার। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিগত অবকাঠামো নির্মাণ আর দক্ষ জনশক্তি গড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই সাথে দেয়া হয় নীতিগত সহায়তা। প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞানভিত্তিক যে বাংলাদেশ গড়তে চাই, সেই লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ, নীতিমালা প্রণয়ন’সহ তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
ভবিষ্যতে তথ্য প্রযুক্তি খাতেই আসবে বড় রফতানি আয়। পাশাপাশি তৈরি হবে কর্মসংস্থানের সুযোগ। এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্মকে সেই লক্ষ্য অর্জনে নেতৃত্ব দিতে হবে। আমি পুরস্কার প্রদানের সময় দেখলাম, তরুণ প্রজন্ম তাদের উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে অনেক ধরনের উদ্ভাবন করতে পারছে। তরুণ ও শিশুদের যতো বেশি প্রশিক্ষণ দিতে পারবো ততোই এরা দেশের সুযোগ্য সন্তান হয়ে গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে সেরা ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের পুরস্কার দেয়া হয়। পুরস্কার পান জেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ উদ্যোক্তারা। কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সুরক্ষা অ্যাপের সাথে সংশ্লিষ্টরা পান শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি।
Leave a reply